বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে মন্তব্য করে বিএনপির আইনসম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সাংবিধানিক অধিকার বিষয়ে— আইনগত নির্বাহী প্রধান যিনি আছেন, তার ওপর নির্ভর করছে তাকে বিদেশ পাঠানো অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে।
কায়সার কামাল বলেন, আমরা বার বার দলের পক্ষ থেকে এবং উনার (খালেদা জিয়ার) চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য যেন বিদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু আজও দুঃখজনকভাবে বলতে হয়, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে হত্যার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে না। বিএনপির চেয়ারপারসন যাতে ধুঁকে ধুঁকে মারা যান, সেই জন্যই তাকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে আবেদন করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদাহরণ টেনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ক্যাসিনো সম্রাট ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। হাজী সেলিমকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। যদিও তারা আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ চিকিৎসা করাতে গেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আপনার জানেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেও বর্তমানে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আছেন। অথচ খালেদা জিয়ার দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাকে যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এতে তার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। আইনকে ভায়োলেট করা হচ্ছে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব বলেন, এ সব কিছু হচ্ছে একব্যক্তির নির্দেশে। তার কারণেই বেগম খালেদা জিয়া দেশের বাইরে সুচিকিৎসার জন্য যেতে পারছেন না।
আবেদন আমাদের দলের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে এবং চিকিৎসক তারা রাইট পারসন। চিকিৎসকরা বার বার বলছে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। আবার বলতে চাই, মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, আইনের তোয়াক্কা না করে একব্যক্তির নির্দেশে খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কিন্তু হাইকোর্টের আদেশে জামিন পাননি। তিনি নির্বাহী আদেশে জামিন পেয়েছেন। অতএব উনার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সাংবিধানিক অধিকার বিষয়ে— আইনগত নির্বাহী প্রধান যিনি আছেন, তার ওপর নির্ভর করছে তাকে বিদেশ পাঠানো অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে। বার বার বলছি, এক ব্যক্তির নির্দেশে উনি মুক্তি পেয়েছেন। আজকে যদি তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতের মাধ্যমে জামিন পেতেন তা হলে হয়তো বা আমরাও আদালতে আবেদন করতে পারতাম। যেহেতু এক্সিকিউটিভ অর্ডারে জামিন পেয়েছেন। সেই এক্সিকিউটিভ কে আপনারা জানেন। তাই ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়া না যাওয়া। যতক্ষণ পর্যন্ত যেতে না পারছেন দেশের মানুষ ধরে নেবেন প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন না উনার সুচিকিৎসা হোক।’
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত