বরিশাল বাংলাদেশ

বামনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন স্বামী, ভিডিও করেন স্ত্রী

image 16255 1692403645
print news

বরগুনার বামনা উপজেলার অযোধ্যা গ্রামে দশম শ্রেণির এক স্কুলশিক্ষার্থীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

অভিযুক্তরা হলেন বামনা ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রামের হাশেম ঘরামীর ছেলে আল-আমীন (৩০) ও তার স্ত্রী তাজেনুর বেগম (২৩)।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) এ ঘটনায় বামনা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কারো নিজেদের মোবাইল ফোন না থাকায় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রায়ই প্রতিবেশী অভিযুক্ত আল আমিনের ফোন থেকে কথা বলত। এই সুযোগে আল-আমিন প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন।

গত ২৮ জুলাই ৩টার দিকে আল-আমিনের স্ত্রী তাজেনুর বেগম তাকে কাঁথা সেলাই করার জন্য ডেকে নিয়ে ঘরের ভেতর আসতে বলেন। সেখানে আগে থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক অবস্থান করছিলেন। তাকে দেখে ওই শিক্ষার্থী ঘর থেকে বের হতে গেলে তাজেনুর তাকে বাধা দেন এবং টেনেহেঁচড়ে পাটাতনে ফেলে দেন। পরে আল-আমিন তাকে ধর্ষণ করেন।

এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন ও ছবি তুলে রাখেন তাজেনুর। ওই ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে সে তার প্রস্তাবে পুনরায় রাজি না হলে ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তারা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে বামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমার মেয়েকে লক্ষ করছি মনমরা, কিন্তু কিছু বুঝি নাই। অভিযুক্তরা আমার মানসম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। জানি না এরপর মেয়েটার অবস্থা কেমন হয়। আপনারা আমার মেয়েটিকে রক্ষা করেন। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

বামনা থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও পেয়েছি। পরে অভিযুক্তদের বরগুনা জেলহাজতে পাঠিয়েছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *