এমটিএফই অনলাইন এ্যপসের ফাঁদে সর্বহারা ১০ হাজার কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশি


জাহিদ হোসেন জনি ,
কুয়েত প্রতিনিধি
ক্রিপ্টো ট্রেডিং এর কথা বলে দুবাই ভিত্তিক বিদেশি এ্যপস এমটিএফই (MTFE) মাধ্যমে ডলার বিনিয়োগ করে সর্বহারা কুয়েতের অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। অনলাইন ভিত্তিক এ্যপসটিতে শনিবার ও রবিবার এই দুই দিন লেনদেন বন্ধ থাকে কিন্তু গত দুই সপ্তাহ যাবৎ আর্থিক লেনদেন প্রক্রিয়া হঠাৎ করে বন্ধ ও ত্রুটি দেখা দিলে গ্রাহকদের মধ্যে দেখা দেয় হতাশা।এ্যপসের মাধ্যমে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন হয় যার কারণে যেকোন জায়গা থেকে পরিচিত যেকারো মাধ্যমে এমটিএফই আইডি খুলে সর্বনিন্ম ২৬ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে সদস্য হওয়া যেত।
বিনিয়োগের উপর এবং নতুন সদস্য যুক্ত করতে পারলে কমিশন পাওয়া যায় প্রতিদিন।পরিশ্রম ছাড়া প্রতিদিন ডলার আয়ের লোভে পড়ে প্রবাসে নিজের কষ্টের আয়ের টাকা বিনিয়োগ করে দিশাহারা অনেক কুয়েত প্রবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুয়েত প্রবাসী এক ভুক্তভোগী জানান,কুয়েতের কয়েকজন সিইও হয়েছে ।আব্দুর রহমান ও মাসুম বিল্লাহ সহ আরও কয়েক জনের আন্ডারে কুয়েতে প্রায় ১০ হাজারের মত বাংলাদেশি এমটিএফই সদস্য হয়েছে এবং ডলার বিনিয়োগ করেছে ফরওয়ানিয়া,জাহারা,আব্বাসিয়া ও কুয়েত সিটির মুরগাব এদের অফিস ছিল। বর্তমানে খোজ নিয়ে অফিসগুলো বন্ধো পাওয়া যায়, গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা কমশিন পেত তার । কোম্পানিতে থেকে প্রতিমাসে তাদের বেতন ও অফিস খরচ দেওয়া হতো। লোভে পড়ে ধরা খেয়েছে আমাদের মত সাধারন প্রবাসীরা। আমি ওভার টাইম করে যে টাকা পাইতাম সেই টাকা এখানে বিনিয়োগ করতাম।কয়েক বারে লাভের কিছু অংশ তুলতে পারলেও মুলধন রয়ে গিয়েছে।
সুজন হাওলাদার নামে অপর এক প্রবাসী বলেন ,আমি গত ১৫ দিন আগে টাকা তুলতে মেসেজ দিলেও টাকা উঠাতে পারতেছি না।দুই দিন পর দেখি টাকা একাউন্টে ফেরত আসতেছে।এখন এ্যপস চালু করে ব্যালেন্সের আগে বিয়োগ চিন্হ দেখাচ্ছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই টাকা পরিশোধ না করলে আমাদের নামে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে এমন মেসেজ আসতেছে। টাকাও গেল উল্টো এখন ভয়ে আছি কোন ঝামেলায় পড়তে হয়। আরো এক প্রবাসীর সাাথে যোগাযোগ করে জানাযায় তিনিি প্রতিদিন প্রায় একহাজার ডলার ইনকাম করতেন যা বাংলা টাকায় এক লাখের উপরে কিন্তু তিনি প্রায় ২ মাসের উপরে টাকা উত্তলন করেন নি একসাথে বেশি প্রফিট পাওয়ার আশায় আজকে তিনি প্রায় ৭০ লাখ টাকা খুইয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন, বলেন এখন আমি ১০ বছরের উপরে প্রবাসে থেকে যা উপর্যণ করেছি সব শেষ।
এদিকে বাংলাদেশে থাকা এমটিএফই সিইও হওয়া মাসুম উদ্দিন নামে এক সদস্যের সাথে যোগাযোগ করা করা হলে সে বলে আমি প্রশাসনিক চাকুরির সুবাধে পরিচয় হয় বাংলাদেশে একজন সাবেক আর্মির অফিসার তার মাধ্যমে এমটিএফই যুক্ত হই।আ্মার কোন লস হয়নি। এই কোম্পানি থেকে আমি অনেক পেয়েছি। গত ৩ মাস আমি নতুন কাউকে সদস্য করি নাই।পুরাতান যারা ছিল তারা বেশিরভাগই তাদের মূলধন তুলে নিয়েছে তবে পরবর্তীতে নতুন যারা যুক্ত হয়েছে অন্যের মাধ্যমে তাদের লস হতে পারে।
অনলাইন ভিত্তিক এ্যপসের মাধ্যমে লেনদেন হতো বিধায় সদস্যদের কাছে কোম্পানির মালিক বা কোম্পানির বৈধ নেই কোন কাগজপত্র ও তথ্য নেই এবং নেই টাকা লেনদেনের বৈধ কাগজ পত্র যেই গুলোর মাধ্যমে আইনের ব্যবস্থা নিতে পারতো। লোভে পড়ে প্রতারকের পাতনো ফাঁদে পড়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা কুয়েতে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী। তদন্তের মাধ্যমে মূল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী জানান ক্ষতিগ্রস্ত অনেক কুয়েত প্রবাসীরা।