চট্টগ্রাম বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

image 103928 1692983437
print news

বাসস: যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান, ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার এবং এই নৃশংসতার অপরাধীদের জবাবদিহিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই সংকটের সমাধান, ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার এবং এসব নৃশংসতার অপরাধীদের জবাবদিহিতার জন্য সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা, আন্তর্জাতিক চাপ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতের সমর্থনের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যার নৃশংস অভিযানের ছয় বছর পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আজ এ বিবৃতি দিয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর গণহত্যার ফলে ১০ লাখ রোহিঙ্গার তিন-চতুর্থাংশ তাদের বহনযোগ্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশের জনগণ তাদের উন্মুক্ত বাহু, সহানুভূতি এবং মানবতার বোধে স্বাগত জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘প্রায় দশ লাখ শরণার্থীর আশ্রয় অব্যাহত রাখার জন্য আমরা বাংলাদেশের জনগণের উদারতা এবং আতিথেয়তার প্রশংসা করছি।’
এতে আরও বলা হয়, ‘২০১৭ সাল থেকে এ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মানবিক সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে, যার মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশে ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অবদান রয়েছে এবং আমরা আমাদের সমর্থনে অবিচল রয়েছি।
রোহিঙ্গারা যারা বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে।
মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়, তারা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার, শান্তিতে তাদের পরিবারকে বড় করার এবং অর্থবহ ও উদ্দেশ্যমূলক জীবনযাপনের সুযোগ প্রাপ্য।
মিয়ানমারের পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশ সরকার এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দানকারী বাংলাদেশিদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সংকট যেমন সীমিত সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা করছে, তেমনি রোহিঙ্গারা কীভাবে তাদের স্থানীয় সম্প্রদায় এবং তাদের নিজস্ব পরিবারের অর্থনৈতিক কল্যাণে অবদান রাখতে পারে তা চিহ্নিত করাও ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের প্রায় ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আন্তরিকভাবে আশ্রয় দিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *