বরিশাল বাংলাদেশ

ঝালকাঠির সুগন্ধায় দুর্ঘটনা ট্যাংকারের ধাক্কায় ট্রলার ডুবি

Untitled 7
print news

সালমান বাপ্পি :
ঝালকাঠির প্রধান তিনটি নদীর একটি হলো সুগন্ধা। শহরের কোল ঘেঁষে নদীটি বয়ে গেছে। এই নদীতে একেরপর এক ঘটছে নৌ দুর্ঘটনা।

শনিবার ২৬ আগষ্ট রাত ৯টার কিছু আগে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চঘাট এলাকায় তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় মাটি বহনকারী একটি ট্রলার নিমজ্জিত হয়েছে। ঘটনার পরপরই ট্রলারে থাকা ৬ জন শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করেছে নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন। তবে ছয়জন শ্রমিকই বিভিন্ন ভাবে জখম হয়েছে।

স্থানীয়দের সহায়তায় আহত শ্রমিকদের রাতেই ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের চারজন শংকামুক্ত থাকলেও গুরুতর আহত হয়েছেন দু’জন।

ট্রলার ডুবির ঘটনা এবং শ্রমিকদের উদ্ধার করার সকল তথ্য নিশ্চিত করেছে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবির সাগর।

প্রত্যক্ষদর্শী বেল্লাল হোসের এবং আহত শ্রমিক মো. হাসান মোল্লা বলেন, ‘নদীর চর থেকে মাটি তুলে ট্রলারে করে একটি ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছিল। মাঝ নদীতে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এসময় পিছন থেকে একটি তেলের ট্যংকার এসে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি নিমজ্জিত হয়ে যায়।

রাতে সদর হাসপাতাল গিয়ে দেয়া যায় আহত ছয় জনই ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসারত শ্রমিকরা হলেন, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার মানিক হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫), মোসলেম মালের ছেলে মো. জাকির মাল (৪৫), তালতলী উপজেলার আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে মো. হাসান মোল্লা (২৭), তৈয়ব আলী জোমাদ্দারের ছেলে নিজাম জোমাদ্দার (৪০), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাসুম হোসেন (২৫) এবং নোয়াখালীর হাতিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মো. রাসেল (২৪)।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, দোষ কার ছিলো, কিভাবে দুর্ঘটনা হয়েছে সেটি আমরা নিবির ভাবে খতিয়ে দেখছি।

এর আগে ২০২১ সালে ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ অর্ধশত প্রাণহানী হয়।

পরের বছর ২০২২ সনের ১৮ মার্চ সন্ধ্যার পরে নলছিটির মল্লিকপুর এলাকায় সুগন্ধা নদীতে এমভি ফারহান-৭ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় বালুরবাহী বাল্কহেড ডুবেযায়।

চলতি বছরের পহেলা জুলাই শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে সুগন্ধায় নোঙ্গর করাবস্থায় ওটি সাগর নন্দিনি-২ নামের জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার বিস্ফোরণে চারজন নিহত হয়।

একই ট্যাংকারটিতে ৩ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় তেল অপসারন করতে গিয়ে অসাবধানতার কারনে আগুন ধরেযায়। ১০ ঘন্টা জ্বলার পর তা নিয়ন্তনে আসে। এতেও, ৯জন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছিলো ১১ জন।

সুগন্ধায় বারবার নৌ-দুর্ঘটনা ঘটায় ঝালকাঠিতে নৌ-পুলিশ এবং নৌ-ফায়ার ষ্টেশন স্থাপনের দাবী করে আসছে এখানকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। কিন্তু এ দাবী বাস্তবায়নে কোনো উদ্দোগ দেখা যাচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *