ফিচার

‘ম্যাজিক চা’ বিক্রি করেই মিরাকল! মাসে লাখ লাখ আয় দুলালের

bangladesh
print news

কৌশিক দত্ত :

বছর ১৫ বছর আগে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে ছোট একটি চায়ের দোকান করেন দুলাল কাজী
দোকান খোলার দিন কয়েকের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে তাঁর তৈরি চায়ের খ্যাতি
এখন মাসে প্রায় ১৩ লাখ টাকার চা বিক্রি করেন দুলাল কাজী

বছর ১৫ বছর আগে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে ছোট একটি চায়ের দোকান করেন দুলাল কাজী। দোকান খোলার দিন কয়েকের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে তাঁর তৈরি চায়ের খ্যাতি। দিনে দিনে তাঁর খ্যাতি আরও ছড়িয়েছে। সেই সঙ্গে ছোট্ট দোকান আকারে বড় হয়েছে। এখন তাঁর তৈরি ‘ম্যাজিক চা’ খেতেই ভিড় জমান বাসিন্দারা। এলাকার লোকজনই নন, ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারীরাও অনেকেই গাড়ি থামিয়ে চুমুক দেন সেই চায়ে। এখন মাসে প্রায় ১৩ লাখ টাকার চা বিক্রি করেন দুলাল কাজী।

বরিশালের ৬ মাইল বাজারে অবস্থিত দুলাল কাজীর চায়ের দোকান। চায়ের কারণেই ওই দোকানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ম্যাজিক চায়ের পয়েন্ট’। দুলাল জানান, ওই চা তৈরি করা হয় গোরুর খাঁটি দুধ দিয়ে। এছাড়াও চায়ের সঙ্গে চালভাজা, বাদাম, তিল ও নারিকেলের তৈরি নাড়ুও বিক্রি করেন দুলাল। তিনি জানান, চায়ের সঙ্গে দেওয়া চালভাজা, বাদাম, তিল ও নারিকেলের নাড়ু সব কিছুই হাতে তৈরি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এগুলি বাড়িতে তৈরি করেন তিনি। পরে বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে দোকানদারি।

এক্ষেত্রে তার কয়েকজন সহযোগী থাকলেও মূল কাজটা তিনি নিজেই করেন। দুলালের দাবি, ম্যাজিক চায়ের জাদু আছে শুধুমাত্র তাঁর হাতেই। এটা আর কারও কাছে নেই। এই কারণেই তাঁর দোকানে লোকজন ভিড় করেন। যারা আসেন তাঁরাও জানান যে দুলালের হাতে তৈরি এই ম্যাজিক চায়ের স্বাদ সবাইকে সেখানে টেনে আনে। দেলোয়ার হোসেন, বৃষ্টি শেখরা বলেন, ‘এই দোকানের ম্যাজিক চায়ে বিশেষত্ব আছে। এর স্বাদ ভিন্ন ধরনের। চায়ের সঙ্গে চালভাজা এবং নাড়ু অন্যরকম স্বাদ দেয়। হাইওয়ে রাস্তার পাশে হওয়ায় দাঁড়িয়ে চা পান করতে করতে একটু বিশ্রামও নেওয়া যায়। আসলে দুলাল কাজীর ম্যাজিক চায়ের স্বাদ সবাইকে এখানে টেনে আনে।’

দুলাল জানান, প্রতিদিন অন্তত দেড় হাজার কাপ চা বিক্রি করেন তিনি। এক কাপ চায়ের দাম ৩০ টাকা। সেই হিসাবে মাসে প্রায় সাড়ে ১৩লাখ টাকার চা বিক্রি করেন দুলাল। আর, চায়ের সঙ্গে চালভাজা, বাদাম, তিল ও নারিকেলের নাড়ু প্রতিবাটি ২০ টাকা করে। সবমিলিয়ে দুলালের চায়ের দোকানে বিক্রি মাসে ২২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ভিড় লেগে থাকে ওই দোকানে। অনেক সময় জায়গার সংকুলান না হওয়ায় দাঁড়িয়েও চা পান করতে হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *