বরিশাল নগরীর রূপাতলিতে দুর্ধর্ষ চুরি : পরিদর্শনে সহকারী পুলিশ কমিশনার


স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল নগরীর রূপাতলী বটতলা জাগুয়া কলেজের বিপরীত পার্শ্বে দুর্ধর্ষ চুরিতে ক্ষতিগ্রস্থ বিউটি বেগমের বাড়িতে পরিদর্শনে গেলেন বিএমপি সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী) সীমা খানম। বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পার্থ সারথী সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় তার সাথে ছিলেন। ভুক্তভোগী বিউটি বেগম সহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এসি কোতয়ালী সীমা খানম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গুরুত্ব সহকারেই মামলাটি দেখছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা আলামত ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। আশা করছি খুব দ্রুতই একটি সাফল্যজনক ফলাফল দেখা যাবে ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর গভির রাতে বিউটি বেগমের বাসায় মধ্য রাতে সিঁধ কেটে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়। এ সময় কয়েক ভরি স্বর্ণের অলংকার ও নগদ প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিএমপি কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সেলিম সহ একটি টিম। তারা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এদিকে ভুক্তভোগী মুনসুর হাওলাদারের স্ত্রী বিউটি বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে একটি এজাহার দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বও রাতে খাবার খেয়ে ঘরের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সোয়া তিনটার দিকে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য উঠলে তিনি দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা। এরপর সিঁধ কাটা দেখে ডাকচিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন জরো হয়। ঘরের মধ্যে ট্রাংক ভেঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে চোরেরা। তাছাড়া একটি ট্রাংক তালাবদ্ধ থাকায় সেটি নিয়ে যায় যার মধ্যে স্বর্ণালংকার ও দলিল, সার্টিফিকেট সহ জরুরী কাগজপত্র ছিল। প্রতিবেশীরা বলছেন, চোরেরা ঘরে উঠে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে স্বর্ণ ও টাকা নিয়েছে। তেমন কোন মালামাল তছনছ করেনি। তাতে বোঝাযায় কোন পরিচিত চোর এই কাজ করেছে। তাছাড়া বাড়িওয়ালার দরজার সোজা সিঁধ কাটায় সন্দেহ আরো ঘনিভুত হয়। পুলিশ যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করলে হয়তো চোর ধরা ও মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব।