২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝালকাঠিতে উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ভবিষ্যত অনিশ্চিত


ঝালকাঠিতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ন্যাশনাল গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে অধিগ্রহণকৃত পাঁচ একর জমির ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হলেও অধিগ্রহণকৃত জমি হস্তান্তরের কাজ মামলা জটিলতার কারণে এখনও শেষ করাই সম্ভব হয়নি। ফলে প্রকল্পটি বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রীড কর্তৃপক্ষ।দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোর মধ্যে
ঝালকাঠিতে বিদ্যুতের কোন গ্রিড উপকেন্দ্র না থাকায় ২০১৯ সলে একনেকের সভায় তা স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়। যার ব্যয় ধরা হয় ১৯৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। উপকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ঝালকাঠির কৃত্তিপাশা সড়কের পুলিশ বক্সের সামনে ৫ একর জায়গা অধিগ্রহনও করা হয়। কিন্তু মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এই জমি গ্রিড কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করতে পারছে না ।অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের দাবি, তাদের জমি ডোবা দেখিয়ে অনেক কম মূল্য নির্ধারন করে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ কারনে তারা জমির মূল্য বেশি দাবি করে জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। ২০২১ সলের ১৫ই নভেম্বর মামলাটি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন তারা।
তবে, সরকার পক্ষের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া ঝন্টু জানালেন, মামলাটি উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করলেও হাইকোর্ট কোন নিষেধাজ্ঞা দেননি। তাই জমি হস্তান্তরে কোন
বাধা নেই ।ঝালকাঠি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে বরিশাল থেকে বিদ্যুত সরবরাহ করায় লাইনে ত্রুটি দেখা দিলে মেরামত করতে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় লেগে যায়। বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবেনা।
ঝালকাঠিতে গ্রীড উপকেন্দ্র হলে জেলায়
ঝালকাঠির ন্যাশনাল গ্রীড উপকেন্দ্ৰ নিৰ্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জীব দাস জানান, ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সঠিক সময়ে জমি হস্তান্তর করা না গেলে প্রকল্পটি বাতিল হবে।
ঝালকাঠিতে ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুত মিলিয়ে মোট ১ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।