বরিশাল নগরীতে বেশিরভাগ সড়কের বেহাল দশা


বর্ষা নেই, তারপরও ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে আছে সড়কের খানাখন্দে। সড়ক সংলগ্ন ড্রেন উপচে পড়া নোংরা পানি আর ভাঙ্গাচুড়ো ইট বিছানো পথে দায় হয়ে পড়েছে চলাচল। বিশেষ করে অক্সফোর্ড মিশন রোড, মুসলিম গোরস্থান রোড, কালু শাহ সড়ক ছাড়াও বর্ধিত এলাকার ৮টি ওয়ার্ডের প্রায় সব সড়কেরই বেহাল চিত্র। গত ১০ বছরে মেয়র আহসান হাবিব কামাল ও মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ আমলে এসব সড়কগুলোতে কোন সংস্কার কাজ হয়নি। যেসব রাস্তায় কাজ শুরু হয়েছিলো সামান্য কাজ করেই ড্রেন ও রাস্তার কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী। নাগরিক সুবিধার এই দিকটি দীর্ঘদিন বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়কে সামান্য বৃষ্টিতেই যে পানি জমে তা অপসারণ হতে সময় লাগে কয়েকদিন। স্থানীয় বাসীন্দাগণ বলছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বেশ কয়েকটি সড়কের সংষ্কার কাজ করলেও তা নিজের পছন্দের কাউন্সিলরদের এলাকায়। যেসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তার পছন্দ নয় সেসব এলাকায় কোন উন্নয়ন তিনি করেননি। নগরীর গোরস্থান রোডের সংষ্কার কাজের দরপত্র নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার দ্বন্দ্বে এখানের অবস্থা এখন বিপদজনক। প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে এ সড়কে। একই অবস্থা অক্সফোর্ড মিশন রোডের। এসব সড়কে যানবাহন চলাতো দূরের কথা সাধারণের চলাচলও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় অনেক সড়কের কাজ অনুমোদন হয়েও থেমে আছে। যেসব সড়কের কথা বলা হচ্ছে, তার সবগুলোর টেন্ডারও হয়ে গেছে। কাজেই পছন্দ অপছন্দের এলাকা বলে কোনো অভিযোগ সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এর ক্ষেত্রে সঠিক নয়। কিছু কাজ এখন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছে করে বিলম্ব করছে বলে জানান লিটু। জানা গেছে, নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পরই এসব সড়কের কাজ শুরু হবে। বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার আয়তন ৫৮ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ। অধিকাংশ সড়কের অবস্থাই বেহাল।
৩ টি থানা, ৩০ টি ওয়ার্ড এবং ১২৫টি মহল্লা নিয়ে গঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকা। রাজধানী ঢাকার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে এখানের ৫২ হাজার বাড়ির হাউজিং ট্যাক্স ও বাড়ি ভাড়া। অথচ পাল্লা দিয়ে বাড়েনা শহরের উন্নয়ন।
প্রধান তিনটি সড়ক বাদ দিলে সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিটি সড়কের বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় বাড়িঘর।