মতামত

বেড়েই চলেছে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা

image 106715 1695006383
print news

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার:

বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে চলমান সংকট গভীর হচ্ছে। নির্বাচন যত কাছে আসছে, ততই এ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বাড়ছে।

সরকার ও সরকারের শরিক অধিকাংশ দল তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখে কথা বলছেন। তারা সংবিধানের বাইরে যাবেন না। এ দলগুলো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চান। অন্যদিকে, অধিকাংশ বিরোধী দল নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি থেকে সরবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

এ দলগুলো তাদের দাবির পক্ষে গড়ে তোলা অহিংস আন্দোলন চলমান রেখেছে এবং ক্রমান্বয়ে আন্দোলনের গতি বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার ওপর। ব্যবসায়ীরা এমন অনিশ্চয়তার ফায়দা লুটছেন। ফলে একদিকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ বিরক্তি ও হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।

সংসার চালাতে নাভিশ্বাস ওঠা জনগণের পক্ষে চিত্রনায়ক ওমর সানি সম্প্রতি সাধারণ মানুষ কী খাবেন সরকারকে সেই খাদ্য তালিকা তৈরি করে দিতে বলেছেন (প্রথম আলো, ১৭.০৯.২০২৩)। জনগণ চলমান পরিস্থিতির পরিবর্তন চান। কামনা করেন রাজনীতিতে নিয়মতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা এবং অর্থনৈতিক ও নিত্যপণ্যের বাজারের স্থিতিশীলতা।

সরকার ও বিরোধী পক্ষের দাবিকে যৌক্তিকতার মানদণ্ডে বিচার করলে সরকারদলীয় দাবির চেয়ে বিরোধীদলীয় দাবি অধিকতর যুক্তিপূর্ণ মনে হয়। সরকারের দাবি হলো, তারা সংবিধান অপরিবর্তিত রেখে নিজেরা ক্ষমতায় থেকে, সংসদ না ভেঙে নির্বাচন করতে চান। বিরাজিত বাস্তবতা বিবেচনায় নিলে এমনভাবে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যে ওই নির্বাচন দুর্নীতিমুক্ত হবে না তা মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে।

ইতঃপূর্বে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। সে কারণে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবি সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। কারণ, আজকের সরকারপ্রধানই নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তিনি ১৯৯০ সালে এরশাদের শাসনামলে সব গুরুত্বপূর্ণ দলের সঙ্গে মিলে গড়ে ওঠা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

আজকের ক্ষমতাসীন দলই ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় পার্টি এবং জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ১৭৩ দিন হরতাল করে সে দাবি আদায় করেছিল। ওই দাবি গৃহীত হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সপ্তম সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছিলেন শেখ হাসিনা। অথচ সম্প্রতি সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে এ দলের কাছেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অন্যায় বিবেচিত হচ্ছে।

এ দলটি নিজেদের মনমতো পঞ্চদশ সাংবিধানিক সংশোধনী এনে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা এককভাবে বাতিল করেছে। তারপর থেকে এ সরকার বলে আসছে যে, দলীয় সরকারের অধীনেই স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব। কিন্তু ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দু-দুবার চেষ্টা করে তারা দলীয় সরকারাধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

একইভাবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার যেভাবে দলীয় সরকারাধীনে ভালো নির্বাচন হবে বলে জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিল, সে একই প্রক্রিয়ায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে একই সুরে কথা বলছে। এ কারণে বিরোধী দলগুলো এবং জনগণের সচেতন অংশ সরকারের এমন আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। রাজনীতি সচেতন জনগণের কেউ কেউ সরকারি দাবির বিরোধিতা করে বলছেন, বাংলা প্রবাদে আছে, ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়।

আমরা দু-দুবার গিয়ে আঘাত পেয়েছি। তৃতীয়বার আর যেতে চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সরকারদলীয় মন্ত্রী-নেতাদের অ্যালার্জি থাকলে তারা একটি অন্য নাম দিয়ে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার বিল পাশ করে সে সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে উদ্ভূত নির্বাচনি সংকটের সহজ সমাধান হতে পারে।

দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচনের বিরোধিতাকারী কেউ কেউ এমনও বলেন, আওয়ামী লীগ বেগম জিয়ার শাসনামলে বিচারপতি কেএম হাসানকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসাবে মেনে নেয়নি। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, জনাব হাসান বিচারপতি হওয়ার আগে বিএনপির রাজনীতি করতেন। তাহলে এখন বিরোধী দলগুলো কী কারণে একটি প্রধান দলের সভানেত্রী ও সারাজীবন রাজনীতি করা সরকারপ্রধান ও সংসদ নেতা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হলে তার অধীনে নির্বাচনে যাবে?

অন্যদিকে, বিরোধীদলীয় দাবি তুলনামূলকভাবে শ্রুতিশোভন। কারণ, বিরোধী দলগুলো জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন। তারা যদি তাদের অধীনে নির্বাচন চাইত, তাহলে জনগণ সে দাবিকে সমর্থন করতেন না। তারা তাদের অধীনে সংসদ নির্বাচন চাইছেন না। একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইছেন। কারণ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো অতীতে ভালো হয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রশাসন ও পোশাকধারী বাহিনীর সদস্যরা নিরপেক্ষভাবে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। আর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের অঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন। বিভিন্ন নির্বাচনে, বিশেষ করে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ বিষয়টি নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে বিরোধী দলগুলোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারাধীনে নির্বাচনের দাবিকে অযৌক্তিক বলা যায় না। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করে ভোটারের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করতে। কিন্তু যদি তারা বুঝতে পারে, দলীয় সরকারাধীনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হবে, তার দল যত ভোটই পাক না কেন, নির্বাচনে জিততে পারবে না; সে ক্ষেত্রে তো বিরোধী দলগুলোর সে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহ না থাকারই কথা। এ কারণে সক্রিয়ভাবে দল না করা দোদুল্যমান ভোটার ও দেশপ্রেমিক জনগণের সচেতন অংশের কাছে বিরোধীদলীয় নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক মনে হচ্ছে না।

সরকার যেভাবে নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রশাসন ও পোশাকধারী বাহিনীর সদস্যদের ঘন ঘন পদোন্নতি দিয়ে বিশেষ বিশেষ স্থানে মনপছন্দের বদলির মাধ্যমে পদায়ন করছে, তাতে এ সাজানো বাগানের প্রশাসনিক ও পোশাকধারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকালীন কেমন ভূমিকা পালন করবেন, তা অনুমান করা যায়। ইতোমধ্যে কতিপয় প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যদের বক্তব্যে তা অধিকতর স্পষ্ট হয়েছে। যেমন-জামালপুরের ডিসি মো. ইমরান আহমেদ স্থানীয় এমপির উপস্থিতিতে প্রদত্ত বক্তব্যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান। এ বক্তব্যে তিনি স্থানীয় এমপিকে আগামী নির্বাচনের পর মন্ত্রী হিসাবে দেখার আশা প্রকাশ করেন। বক্তব্যটি ভাইরাল হওয়ার পর ইসি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইসাপেক্ষে ওই ডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। একইভাবে পাইকগাছা ও চারঘাট থানার ওসি যথাক্রমে রফিকুল ইসলাম এবং মাহবুবুল আলম রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন। জনাব রফিকুল স্থানীয় সরকার দিবসে প্রদত্ত বক্তব্যে বলেন, ‘যে স্বপ্ন বাংলাদেশ কখনো দেখতে পারেনি, সে স্বপ্ন দেখেছেন শেখ হাসিনা। যে স্বপ্নের কথা বাংলাদেশ কখনো ভাবতে পারেনি, সে স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করেছে শেখ হাসিনা সরকার।’ অন্যদিকে মাহবুবুল আলম বলেছেন, ‘নির্বাচন করতে মন্ত্রী (পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) আমাকে গাইবান্ধা থেকে চারঘাট থানায় নিয়ে এসেছেন।’ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এসব ডিসি-ওসিই নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন।

এসব ভেবে দেশপ্রেমিক জনগণের সচেতন অংশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে দেশের আর্থিক দুরবস্থা, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, শিক্ষাব্যবস্থায় ছড়িয়ে পড়া বিশৃঙ্খলায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বিদেশে চলে যাওয়া যেমন তাদের ভাবিয়ে তুলেছে, তেমনি অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সামাজিক অস্থিরতা এবং নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কথা ভেবে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দাম কমছে, এমনকি অর্থনৈতিক ধস থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রত শ্রীলংকার চেয়েও বাংলাদেশে প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বেশি। শ্রীলংকায় সয়াবিনের কেজি যেখানে ৮০ টাকা, বাংলাদেশে তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়। শ্রীলংকায় বিক্রি হওয়া ৫০ টাকা কেজি দরের আদা বাংলাদেশে বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। বাংলাদেশে যে কোনো প্রকার আপেলের কেজিপ্রতি দাম ৩ শতাধিক টাকা। শ্রীলংকায় সে আপেল বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭৫ টাকায়। মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত জনগণ এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ে কারসাজি করা সিন্ডিকেটবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় জনগণ সরকারের ওপর বিরক্ত।

এখন বিরোধী দলগুলো ক্রমান্বয়ে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিতে যাওয়া শুরু করেছে। প্রতিদিনই রাজধানীতে একাধিক দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি থাকছে। অন্যান্য বিভাগীয় এবং জেলা শহরেও এমন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সরকার এখন এসব আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যস্ত। ব্যবসায়ীরা সে সুযোগের ফায়দা নিচ্ছেন। এ কারণে সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করা যাচ্ছে না এবং জনগণের চলাফেরায় অসুবিধা হচ্ছে। সরকার এখন পর্যন্ত আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর দাবি নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্য কোনো বিকল্পের কথাও বলেনি। সরকার একগুঁয়েমি করে প্রশাসন ও পোশাকধারী বাহিনীর সহায়তায় দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে। এভাবে নির্বাচন করলে কয়েকটি বড় বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। খুব কমসংখ্যক ভোটারই ঝুঁকি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। দেশের বিরোধীদলীয় যৌক্তিক দাবিকে উপেক্ষা করে এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের বড় শক্তিধর দেশগুলোর চাওয়া অবজ্ঞা করে আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করলে ওই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এমন চেষ্টায় নির্বাচনি শিডিউল ঘোষণাকালে এবং তার পরে রাজপথে রক্তপাতের আশঙ্কা দেখা দেবে। সরকার দমন-পীড়ন, হামলা, মামলা ও গ্রেফতার করে বিরোধী দলকে ভয় দেখিয়ে নিষ্ক্রিয় করতে পারবে না।

সরকারকে মনে রাখতে হবে, যে সংবিধানের অজুহাত দেখিয়ে তারা দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচন করতে চাচ্ছে, সে সংবিধান তো দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। এখন গণতন্ত্র চর্চার স্বার্থে এবং নির্বাচনি সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে আরেকটি সাংবিধানিক সংশোধনী করে একটি নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা সংবিধানে সন্নিবেশিত করলে কারও বিরাট ক্ষতি হবে না। এ কাজ করতে সরকারি দলের অসুবিধা হবে না। কারণ, সংসদ এখনো সচল আছে এবং সংসদে সরকারি দলের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কেবল সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সদিচ্ছা থাকলেই সরকার এমন একটি বিল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে পাশ করে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে পারে। এমন কাজ করলে একদিকে ভোটারদের মধ্যে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে, অন্যদিকে দেশে একটি মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে। এর ফলে পাশ্চাত্যের পরাশক্তিধর দেশগুলোতেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। আর এমন নির্বাচন দেশকে উপহার দেবে একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশপ্রেমিক জনবান্ধব সরকার।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *