চাঁদপুরে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে


চাঁদপুরে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ অঞ্চলে এবার আখের ফলন ভালো হয়েছে। জেলায় এবার ছয়টি জাতের আখের আবাদ হয়েছে। দো-আঁশ ও পলি মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় আখের ফলন বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি অফিস। চলতি বছর জেলায় আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০৬ হেক্টর জমিতে। আর চাষ হয়েছে ৬০৯ হেক্টর জমিতে।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আখ চাষ হয়েছে। বিশেষ করে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মতলব ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে ৪২০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে।
মতলব-উত্তর উপজেলার নান্দুরকান্দি, লবাইরকান্দি, বড় হলদিয়া, সরদারকান্দি, ওটারচর, হাজীপুর, হানিরপাড়, দশানী, বালুচর, শিকিরচর, ছোট হলদিয়া, নিশ্চিন্তপুর, রাঢ়ীকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশি আখ চাষ হয়েছে। এসব এলাকার কৃষক এখন আখ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ফরিদগঞ্জ বালিথুবা গ্রামের কৃষক মোবারক বলেন, ‘এবার আখের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। দেশীয় জাতের আখের চেয়ে রঙ্গ বিলাস আখের বাজার দর অনেক বেশি। ভালো জাতের প্রতিটি আখে আমাদের খরচ হয় ২২ টাকা। প্রতিটি আখ বিক্রি করি ২৫-২৬ টাকা। এসব আখ ঢাকা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে ট্রাক ও লঞ্চে করে আমরা পাঠিয়ে দিই।’
মতলবের চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, আখ চাষে এবার ভালো ফলন হওয়ায় তারা লাভবান হবেন। আখ জমি থেকে কাটা শুরু করেছেন তিনি। আখ তুলে ধান চাষ করবেন।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়া নতুন জাতের আখ চাষে কৃষককে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।’