চট্টগ্রামের রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের দুর্নীতি প্রমাণিত


মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত কৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু তৈয়বের অর্থ আত্মসাৎ এর দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় সকল অর্থ ফেরত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম।
জানা যায় রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু তৈয়ব কে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে ২০০৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করে এবং চূড়ান্ত বহিষ্কারের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের আপীল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির ২০০৫ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত ১৭ তম সভায় অনুমোদিত হয় । এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে ২০০৫ সালের ২৯ মে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষককে জানানো হয় । এরপর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের আপীল এন্ড আরবিট্রেশন কমিটির অনুমোদন ছাড়া ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর আবু তৈয়বকে স্বপদে পুনর্বহাল করে যা বিদি সম্মত ছিল না । ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের আদেশক্রমে বিদ্যালয় পরিদর্শকের জারি করা এক পত্রে এসব তথ্য জানা যায় ।
তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়ব স্বপদে পুনবহাল হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাৎ করতে থাকে এতে বিভিন্ন বিষয়ের অভিযোগ পাওয়াই ২০২০ সালের ৩০ মে আবারো বহিষ্কার করে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি আবু তালেব । এ সময় তার বিরুদ্ধে খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগে অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ সহ বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। বিষয়টি পত্র মারফত চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে যার তদন্ত প্রতিবেদন ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দাখিল করে । তদন্ত প্রতিবেদনে আরও দেখা যায় ২০০৯ সালের ১১ এপ্রিল সম্পাদিত চুক্তিনাামার ২ নং শর্ত অনুযায়ী আবু তৈয়ব ৫ লক্ষ ৯ হাজার, সততা স্টোরের জন্য দুদক কর্তৃক বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকা , ৪৬ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্মানী বাবদ ৪০ হাজার টাকা , ম্যাগাজিন অবগাহন ২০১৮ বিজ্ঞাপন বাবদ আদায়কৃত ৩৩ হাজার টাকা ,২০২৩ সালের এসএসসি সম্মানী ৬ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা , অষ্টম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আদায়কৃত বিশেষ ক্লাসের ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৩৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকা , ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম কিস্তি ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার , দ্বিতীয় কিস্তি তিন লক্ষ ১৪ হাজার টাকা , ইউনিক আইডি তৈরীর খরচ বাবদ তেত্রিশ হাজার টাকা, বরখাস্তকালীন প্রধান শিক্ষকের বেতন ও ভাতা বাবদ তিন লাখ বিশ হাজার টাকা সহ হিসাব ছাড়া অনেক অর্থ আত্বসাত করেছেন। এসব আত্বসাত টাকা ফেরত নেওয়া সহ প্রয়োজনীয় গ্রহনের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে বোর্ড ।