বগুড়ায় আশ্বিনের বর্ষণে কৃষকের চোখে নতুন স্বপ্ন


বগুড়া জেলা প্রতিনিধি
বগুড়া জেলায় গত এক সপ্তাহের বর্ষণে আমন চাষীদের চোখে মুখে সফলতার স্বপ্ন ভেসে উঠেছে
বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি না হওয়ায় এলাকার আমন চাষিরা রোপা আমন ধান চাষ নিয়ে ছিলো চিন্তিত। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে চাষিরা নতুন স্বপ্ন চোখে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি রোপা আমন ধানের ক্ষেত পরিচর্যায়। মাঠ ঘুরে দেখা গেছে এই জেলায় এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রোপা আমন ধান লাগাতে কৃষকেরা বিড়ম্বনার শিকার হয়। তারপরও রোপা আমন চারা রোপন করলেও বৃষ্টিপাত নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন কৃষকেরা। এরই মাঝে গত এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা নতুন স্বপ্ন নিয়ে আমনের পরিচর্যায় জমিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডারখ্যাত জেলার শেরপুর উপজেলা সর্বজন পরিচিতি ও সমাদৃত। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এ বছর উপজেলায় দশটি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অর্জিত হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৩ হেক্টর। এর মধ্যে ও উফসী এবং স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে। এসব জমিতে কৃষক আমন চাষাবাদের জন্য শ্রাবণ মাস থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকেন। সেই লক্ষ্যে যথা সময় বীজতলা তৈরির কাজও সম্পন্ন করেছিলেন। শ্রাবণ ভাদ্র এই দুই মাসে জমি চাষাবাদ এবং রোপণ শেষে একমাস অতিবাহিত হলেও এই উপজেলায় কাঙ্ক্ষিত পর্যাপ্ত বৃষ্টি মেলেনি। কিন্তু গত সাত দিনে লাগাতার বৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষক নতুন করে সফলতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে কুসুম্বি ইউনিয়নের খিকিন্দা গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান, খামারকান্দি ইউনিয়নের গৌড়দৌড় গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, গাড়িদহ ইউনিয়নের গাড়িদহ গ্রামের কৃষক রেজাউল করিমসহ বেশ কিছু কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে ক্ষতি যতোটুকু হবার তা আগেই হয়ে গেছে এখন বৃষ্টি হবার কারণে হয়তো কিছুটা পুষিয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার জানান রোপা আমন রোপনের সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলেও বর্তমানে কাঙ্খিত বৃষ্টি হওয়ায় সেই ক্ষতিপুষে উঠতে পারবে। এক্ষেত্রে উপজেলায় আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।