বরিশাল বাংলাদেশ

সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিলেন ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান

76885 Sr
print news

সামাজিক বনায়নের গাছ রোপণ, পরিচর্যা ও কর্তনের জন্য রয়েছে নির্ধারিত কমিটি। এ বনায়নের কোনো কাজ করতে হলে তা সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে করতে হয়। তবে এসব কিছুর তোয়াক্কা না করেই পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার রাস্তা নির্মাণের অজুহাতে রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)’র রাস্তা নির্মাণের জন্য উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের কেওড়ার মোড় থেকে খেজুরতলা বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কয়েক শতাধিক সরকারি গাছ কেটে ফেলেছেন ঠিকাদার প্রতিনিধি ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। গত এক সপ্তাহ ধরে গাছগুলো কাটা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক শত গাছ ছিল যেগুলো নির্মাণাধীন রাস্তার বাইরে। এরপরও কোনো ধরনের আইন না মেনেই সেই গাছগুলো কেটে বিক্রি করেছে শাহীন। তবে স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে কিছু গাছ স্থানীয় ইউপি সদস্য জোবায়ের তালুকদারের কাছে জমা রাখলেও, অধিকাংশ গাছ বিক্রি হয়ে গেছে। সামাজিক বনায়নের অন্যতম সুবিধাভোগী সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, তাদেরকে না জানিয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে গাছগুলো কাটা হয়েছে। যে গাছগুলো কাটার দরকার নেই সেগুলোও কাটা হয়েছে। ইউপি সদস্য জোবায়ের তালুকদার জানান, রাস্তার কাজের জন্য দুই পাশের গাছ কাটা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের বাড়ির সামনে কিছু গাছ পড়ে থাকায় তারা সেগুলো নিয়ে গেছে। তবে বাকি গাছগুলো তার দায়িত্বে রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিনিধি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার জানান, গাছগুলো বন বিভাগের আওতাধীন হওয়ায় তাদেরকে জানানো হয়েছে। বন বিভাগ থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে গাছগুলো কাটার ব্যবস্থা করেছে এবং সেগুলো ইউপি সদস্য জোবায়ের তালুকদারের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।
পিরোজপুর সামাজিক বনায়নের রেঞ্জ অফিসার নির্মল কুমার দত্ত জানান, বন বিভাগকে না জানিয়ে রাস্তার গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে টেন্ডার ছাড়া সামাজিক বনায়নের কোনো গাছ কাটার সুযোগ নেই। পত্তাশী ইউনিয়নে কিছু গাছ কাটার বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *