শিক্ষা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পূর্ব মনোনীত ৪ প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষায় চুড়ান্তের অভিযোগ

received 160138000500798
print news
জুয়েল শেখ ,জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্যের দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে পাড়ইল গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সাঈদার ইসলাম,অফিস সহায়ক পদে রায়পুর গ্রামের আলমের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, নিরাপত্তাকর্মী পদে রতনপুর গ্রামের মফিদুলের ছেলে রাকিবুল ইসলাম ও আয়া পদে একই গ্রামের আরমানের স্ত্রী কুমকুমকে পরীক্ষার পূর্বেই গোপনে মনোনীত  করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে  সাজানো   পরীক্ষায় নিয়োগের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে নুর ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, সাজাদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান সহ একাধিক ব্যাক্তি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র উক্ত পদে  ঐ ৪ জন প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে।
নিয়োগের আগেই গত ২৪ সেপ্টেম্বর  মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর এবং পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুলিপি দেন। কিন্তুু এসব অভিযোগ আমলে না নিয়ে চলতি মাসের ৭ অক্টোবর শনিবার নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই নিয়োগ পরীক্ষায় উক্ত পূর্ব মনোনীত  ৪ জন প্রার্থীকেই  নিয়োগ পরীক্ষায় চুড়ান্ত ফলাফলে প্রথম দেখিয়ে নোটিশ বোর্ডে তাদের নামের তালিকা টাঙ্গিয়ে দেন।
নিয়োগ পরবর্তী  ৯ অক্টোবর  ঐ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কম্পিউটার ল্যাব অপরেটর পদে আবেদনকারী প্রার্থী নাইম হোসেন, আয়া পদের প্রার্থী  রোজিনা ও অফিস সহায়ক পদের প্রার্থী আজিজ বাবু নামে তিনজন পরীক্ষার্থী মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরের লিখিত পনুরায় অভিযোগ দায়ের করেন ও পাঁচবিবি উপজেলা মাধ্যমিক কর্মাকর্তার কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রদান করেছেন। অভিযোগকারীরা বলেন, নিয়োগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতেই পরীক্ষা গ্রহনের পর ফলাফল জানতে চাইলে পরে জানানো হবে বলে জানান।
কিন্তু পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক তাদের পূর্বেই মনোনীত অভিযুক্ত চার প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষায় চুড়ান্ত নির্বাচিত করে নোটিশ বোর্ডে তাদের নামের তালিকা টাঙ্গিয়ে দেন। নিয়োগ পরীক্ষার অনেক আগেই উল্লেখিত আবেদনকারীদের নিয়োগ করা হবে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছিল পরীক্ষার ফলাফলে তাদের নামই রয়েছে। এতেই তাদের অভিযোগ শতভাগই প্রমানিত হয়েছে  বলে  জানান অভিযোগকারীরা।বে-সরকারী শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদাধিকার বলে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য। অথচ তাঁর অনুপস্থিতিতেই নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড প্রার্থীদের পরীক্ষা গ্রহন করে। যা  বে-সরকারী শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ।রতনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  অভিযোগ অস্বীকার করে ফজলে এলাহী বলেন, ২১ জন  আবেদনকারীর মধ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে   ৪ জন কে নেওয়া হয়েছে ।  আপনারা সবই তো বোঝেন, তো জিজ্ঞাসা কেন করছেন ?’ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল চৌধুরী জানান, মোট ২৩ জন আবেদন করেছিলেন, আর যে ৪ জনকে নিয়োগ পরীক্ষায় চুড়ান্ত করা হয়েছে তা স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই করা হয়েছে। অভিযোগ সঠিক নয়।’
এ ব্যাপারে পাঁচবিবি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ‘ এলাকাবাসীদের কাছ থেকে পৃথক ২টি অভিযোগ পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষককে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মৌখিক ভাবে জবাব দিলেও এখনো কোন লিখিত জবাব দেননি বলেও জানান তিনি। নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বেই এলাকাবাসীদের কাছে থেকে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করা ও নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত না হওয়ার কারন জিজ্ঞাসা করা হলে কোন সদুত্তর না দিয়ে কৌশলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

*গুরুত্বপূর্ণ  সব সংবাদ ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়।
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *