রাজনীতি

রাজশাহী ৫ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী তানজিমা শারমিন 

received 6985391811506250
print news
নাইম হোসেন, দুর্গাপুর :  রাজশাহী ৫ দুর্গাপুর – পুঠিয়া আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রয়াত সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি ও সাবেক  সাংসদ অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের কন্যা  তানজিমা শারমিন মুনী ।  আসনটিতে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন তিনি। গণসংযোগ, পথসভা  নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন নিয়মিত। প্রয়াত সংসদ তাজুল ইসলাম ফারুক ও তার পুত্র বদরুল ইসলাম তাপসের বিয়োজনে সংসদীয় আসনটিতে রাজনৈতিক সংকটের  সৃষ্টি হয়। সেই সংকট মোকাবেলায়  জনগণের সেবা করার উদ্দেশ্যে  বাবা ও ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে এবারে  নৌকার মনোনয়ন চান  জনপ্রিয় নেত্রী নারী উদ্যোক্তা তানজিমা শারমিন মুনি।
দুর্গাপুর পুঠিয়ার সাধারণ জনগণ জানায়, তার বাবা আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষে সারাজীবন রাজনীতি করেছেন। সংসদ সদস্য হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। যখন এমপি ছিলেন না তখন একজন নিবেদিত ত্যাগী রাজনীতিবীদ হিসাবে এলাকার মানুষের পাশে সর্বদা থেকেছেন। বাবা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পেরেছিলেন বলেই সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছিলেন। তার দেখানো পথে হাটছিলেন বড় ছেলে সদ্যপ্রয়াত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বদরুল ইসলাম তাপস। বাবার মতো তিনিও আজ আর নেই। এবার বাবা ও ভাইয়ের পথ ধরেই এলাকাবাসীর চাওয়া ও ভালোবাসার মূল্য দিতে রাজনীতিতে আসছেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের কন্যা তানজিমা শারমিন মুনি। তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। একপ্রশ্নের জবাবে মুনি বলেন, নারী হিসাবে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি সফলভাবে দেশ চালাতে পারেন। ইনশাআল্লাহ আমিও তার আস্থা রাখতে পারবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রেরণা। আমি একজন নারী উদ্যোক্তা। তাই আমি আমার এলাকার বেকারত্ব দূরীকরণে উদ্যোক্তাতা তৈরির মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটাতে চাই। জনদরদী, সৎ ও সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে যে কোন অঞ্চলের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করার পাশাপাশি সংগঠনকেও শক্তিশালী করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন ফারুক কন্যা মুনি। তিনি আরও জানান,আমার দাদা  কসির উদ্দীন মিঞা  ৫নং ঝালুকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন । পিতার দেখানো পথে হেঁটেছেন ফারুক তিনি  ১৯৬৬ সালে ঈশ্বরদী  থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭-৬৯ রাজশাহী সরকারি কলেজে অধ্যয়ন রত অবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে সামনের কাতারে থেকে করেছেন আন্দোলন। ১৯৭০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় মহান  স্বাধীনতা যুদ্ধ যাতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।  দুর্গাপুর পুঠিয়া-তে এমন  রাজনৈতিক  পরিবারকে যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত বলছে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ । মুনি আরও বলেন, আমি এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছি। এলাকার মানুষের ভালোবাসা আর সমর্থনে সত্যি খুব আনন্দিত। কারণ এলাকার মানুষ আমার বাবা ও ভাইকে কি পরিমাণ ভালবাসতো সেটা আমি এখন উপলব্ধি করতে পারছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি আমাকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেন তবে আমি তাঁর সম্মান সমুন্নত রেখে সাধারণ জনগণের সেবা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

*গুরুত্বপূর্ণ  সব সংবাদ ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়।
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *