কক্সবাজার জেলা একাউন্টস অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ


কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার দুদকের গণশুনানিতে এলএ চেক পাশের বিনিময়ে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা একাউন্টস অফিসার সাহাব উদ্দিন ও সুপার সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে। কক্সবাজারে দুদকের গণশুনানিতে অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী।
‘রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি শহীদ সুভাষ হলে বুধবার (১১ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে এক গণশুনানির আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মাননীয় কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক।
গণশুনানিতে ভুক্তভোগী মো. সোহানুর রহমান কক্সবাজার জেলা একাউন্টস অফিসার (চ. দা.) মো. সাহাব উদ্দিন এবং একই অফিসের এসএএস সুপার মো. সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে এলএ চেক পাশের বিনিময়ে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী সোহানুর রহমান জানান, কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে স্মারক নং- ০৫.২০.২২০০.১১৮.১৪.৬৬.২২-১৫০ তারিখ: ০৯/০১/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ১৬৪ টি চেক MICR চেক প্রস্তুতের জন্য কক্সবাজার জেলা একাউন্টস অফিসে প্রেরণ করা হয়। ১৬৪ টি চেকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর (অভিযোগকারী) নামে চেক নং-১৮৮৫০২, তারিখ: ২৯/১২/২০২২ মূলে ২,৩৩,০৭,৮৪৯ (দুই কোটি তেত্রিশ লাখ সাত হাজার আটশত উনপঞ্চাশ) টাকার চেক জেলা একাউন্টস অফিসে আসে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, যারা যারা কক্সবাজার জেলা একাউন্টস অফিসার মো. সাহাব উদ্দিন ও সুপার সাইফুর রহমানের সঙ্গে অফিসে এসে যোগাযোগ করছিলেন শুধু তাদের চেকগুলো পাশ করে এমআইসিআর (MICR) চেক একটি দুটি করে এলএ শাখায় পাঠায়। তার পরের ক্রমিকের চেক আগে চলে যাচ্ছে দেখে সে জেলা একাউন্টস অফিসে আসেন। জেলা একাউন্টস অফিসের সুপার সাইফুর রহমানের সঙ্গে উক্ত বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান জেলা একাউন্টস অফিসারকে ৭০ হাজার টাকা না দিলে চেক পাশ হবে না। ওই সময় বাধ্য হয়ে তিনি টাকা দিতে রাজি হলেন। টাকা দিতে রাজি হলে সাইফুর রহমান তখন সোহানুর রহমানকে নিয়ে সাহাব উদ্দিনের রুমে ঢুকে। সাহাব উদ্দিন প্রায় ২৬ মিনিট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সাহাব উদ্দিন কলম দিয়ে সাদা কাগজে ৭০ হাজার লিখে সুপার সাইফুলকে বলেন টাকা আনছে কিনা। তখন সোহানুর রহমান ৭০ হাজার টাকা বের করে সাইফুর রহমানের হাতে দেয়। সাইফুর রহমান অভিযোগকারী সোহানুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করেন ৭০ হাজার পুরো আছে কিনা (রেকর্ড আছে) সাইফুর রহমান গুনে দেখে ৭০ হাজার টাকা সঠিক পেয়ে টাকাটা সাহাব উদ্দিনকে বুঝিয়ে দেন। সাহাব উদ্দিন তখন সোহানকে বলেন এক লাখ, দুই লাখ বা মসজিদ মাদরাসার চেক থাকলে বলতে বলেন এবং ফ্রি পাশ করে দেওয়ার কথা বলেন (রেকর্ড আছে)। টাকা দিয়ে চলে আসার পরের দিন এমআইসিআর (MICR) চেক এলএ শাখায় পাঠিয়ে দেন। উক্ত অভিযোগ শুনে কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বিষ্মিত হন এবং এ বিষয়ে সাহাব উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
*গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।