দিরাইয়ে বন্দুক যুদ্ধ নিহত – ১ : আহত – ১০


দিরাই প্রতিনিধি : একদিনের ব্যবধাবে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আবারো দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে ১ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। নিহতের নাম দুলাল মিয়া(৪৫) তিনি উপজেলার পুকিডহর গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে। বুধবার সকাল এগারোটায় জমিজমা ও গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে পুকিডর গ্রামের হোসেন খান ও আরজু খানের গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই আরজু খানের পক্ষের দুলাল মিয়া নিহত হন।দুই পক্ষে আরো দশ জন আহত হয়।খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। দিরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষের বিরোধ রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে একাধিকবার সংঘর্ষ ও গুলাগুলিতে লিপ্ত হয়।আদালতে দুই গ্রুপের ডজনখানেক মামলা রয়েছে। বুধবার সকাল এগারোটায় দুই পক্ষের লোকেরা পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে স্ব শস্ত্র হামলায় লিপ্ত হয়। স্থানীয়রা জানান দুই গ্রুপের পক্ষে গুলাগুলি হয়।গুলিতে ঘটনাস্থলেই আরজু খানের পক্ষের দুলাল মিয়া মারা যায়।এসময় দুই পক্ষের আরো কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- রুপ মিয়া (৪২), মিল্লাদ হোসেন (২০), বদরুল্লা (৬০) ও আইয়াত উল্লা (২৪)। আহতদের দিরাই উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে আশংকা জনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রায়হান উদ্দিন বলেন আহতদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ছিল।আশংকা জনক অবস্থায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলু বলেন, পুকিডর গ্রামের দুই গ্রুপের মাঝে বন্দুক যুদ্ধে একজন নিহত হয়। নিহত দুলাল মিয়া আরজু খানের লোক। পুর্ব বিরোধেই এই সংঘর্ষ ও গুলাগুলি হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করে দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির হোসেন দৈনিক নয়াদিগন্তকে বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( দিরাই সার্কেল) শহিদুল ইসলাম মুন্সি স্যারসহ আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য , মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামের দুপক্ষের বন্দুক যুদ্ধে ১৮ জন গুলিবিদ্ধ সহ ২৫ জন আহত হয়। এঘটনায় দুইদিনেও কোন মামলা বা গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।