কমে যাচ্ছে মাটির ঘর


চাঁদপুর সংবাদদাতা : চাঁদপুরের কচুয়ায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ঘর। প্রচণ্ড গরম ও শীতে বসবাসের উপযোগী ছিল মাটির ঘর। এক সময় এলাকার ধনী-গরিব সবাই মাটির ঘরে বসবাস করতেন। তবে কালের বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কাদামাটি দিয়ে তৈরি ঘর। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও প্রধানীয়া বাড়িতে একটি মাটির দেওয়ালের টিনের চালের বসতঘর এখনো রয়েছে। এই মাটির ঘর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ প্রায় ৪০ বছর পূর্বে শখের বশে তৈরি করেন। সেই মাটির ঘরে এখনো পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তার ছেলে মো. শরীফুল ইসলাম।তিনি বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ প্রায় ৪০ বছর পূর্বে শখের বশে মাটির ঘর তৈরি করেন। বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে পরিবার নিয়ে আজও এই ঘরে বসবাস করছি। মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর।আরামদায়ক মাটির ঘরে দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি বিত্তবানরাও একসময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। বৃষ্টি বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হলে এসব ঘর অনেক বছর পর্যন্ত টিকে থাকে। বর্তমানে মানুষের আধুনিক জীবনযাপনের ইচ্ছা ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও রুচি বোধের মধ্যে ও পরিবর্তন এসেছে। এখন সবাই মাটির ঘর ভেঙে টিন আর ইটের পাকা-আধাপাকা বাড়ি তৈরি করেছেন। তাই বিলুপ্ত হতে চলেছে অতীতের মাটির ঘর। বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন শুধুই স্মৃতি মাত্র।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।