বাংলাদেশ সিলেট

শাল্লা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

04ce00c1c94e479fc631de3c4061822d 65412cf869ca5
print news

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের শাল্লায় রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলা হতে সদ্য স্ট্যান্ড রিলিজ হয়ে আসা শাল্লা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে একজন সহকারী শিক্ষিকার স্বামী তন্ময় দেব ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে ঘুষ না দিলে শিক্ষকদের চিকিৎসা ছুটি মঞ্জুর করেন না। এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচির (স্লিপ) বরাদ্দ থেকেও ওই কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়। বিদ্যালয় প্রতি ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা ঘুষ না দিলে তিনি স্লিপের বিল অনুমোদন করেন না। স্কুলের কোনো শিক্ষক কোনো অসুবিধার কারণে একদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষকসহ অফিস স্টাফদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করেন তিনি। গত দুই থেকে তিন মাস আগে এক প্রধানশিক্ষককে নিয়মবহির্ভূতভাবে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেন। পরে শিক্ষক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের চাপে পড়ে অব্যাহতি আদেশ তুলে নিতে বাধ্য হন তিনি।

41196aab48cbbf72e580c9a09a8f6124 65412d26c4a81

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বলেন, আমি বিগত ১৫/২০ দিনের মতো অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে ছিলাম। পরে সুস্থ হয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে স্কুলে যোগদান করার পর জানতে পারলাম আমার বেতন ও পূজার বোনাস বন্ধ। পরে সালাম স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে স্যার বলেন, আপনার বেতন-বোনাস ছেড়ে দিবো যদি আপনি আমাকে ২৫ হাজার টাকা দেন। না হয় আমার করার কিছু নেই। তখন শিক্ষিকা বলেন, স্যার আমার এতো টাকা নেই। তাছাড়া আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ঋণ করেছি। দয়াকরে আমার বেতন-বোনাস ছেড়ে দিন। তখন স্যার বলেন, এভাবে হবে না। তাহলে আরেকটা শর্তে আপনার বেতন ছেড়ে দিবো। আপনার ১ পাতা চেক দেন আমি চেক দিয়ে আমার পরিচিত সুদের কারবারি উজ্জ্বল মিয়ার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা সুদে নিয়ে নিবো। বেতন হলে উজ্জ্বল মিয়া ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ২৮ হাজার টাকা রেখে বাকি টাকা আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে আমার বেতন রেগুলার করার জন্য সালাম স্যারকে ১ পাতা চেক দিতে বাধ্য হলাম।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করার স্বত্বেও উনি ফোন ধরেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল বলেন, আমি অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *