শীতের আগমনীতে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর


মুঞ্জুরুল হক, ধুনট (বগুড়া) : শীতের আগমনি বার্তায় প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় বেড়েছে লেপ-তোষকের চাহিদা। কুয়াশা ঢাকা পড়ছে ভোরের সকাল। সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। রাতে শীতের আলতো ছোয়া থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন লেপের উষ্ণতার। শীতের তীব্রতা বাড়ার আগেই মানুষ ভীর জমাচ্ছে লেপ-তোষক তৈরির স্টোরগুলোতে। এরই সঙ্গে ধুনট উপজেলার লেপ-তোষক বানানোর কারিগররা বর্তমানে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন লেপ-তোষক তৈরিতে। শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে দোকানগুলোতে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।শীতের প্রকোপ দেখে কেউ পুরোনো লেপ-তোষক মেরামত করতে আবার কেউ নতুন করে তৈরিতে ভীর করছে দোকানে। এ ছাড়াও লেপ-তোষক, চাদর, বালিশসহ শীতের উষ্ণ কাপড় বিক্রি হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছে ফুটপাতে ও গ্রামের বিভিন্ন হাটগুলোতে।উপজেলার বিভিন্ন বেডিং স্টোর আর কটন শোপ দোকান গুলোতে গিয়ে তাদের কর্ম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। কারিগররা কেউ তুলো ধুনছে, কেউ ব্যস্ত লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজে, কেউ বা লেপে হরেকরকম ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন। শীত মৌসুমেই তাদের সারা বছরের ব্যবসায়িক হিসাব মেলাতে হয়।ক্রেতা নিয়ামুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জানান, তীব্র শীত আসতে কিছুদিন দেরি হলেও ছেলে, মেয়ের জন্য লেপ তৈরি করতে এসেছি দোকানে, কারণ শীতের সাথে লেপ-তোষক ও উষ্ণ কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।লেপ-তোষকের কারিগর ইলিয়াস জানান, একজন কারিগর প্রতিদিন ৫-৬ টি লেপ তৈরি করতে পারেন। শীতের আগমনী সময়ে কাজের খুব চাপ পড়ছে আমরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছি, এতে আর্থিক স্বাবলম্বী হতেও সক্ষম আমরা। লেপ-তোষক কারিগর ও ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, তুলা ভেদে লেপ-তোষকের দামের পার্থক্য আছে এবং মজুরিতেও রয়েছে ভিন্নতা। বাজারে, কার্পাস, পলি, শিমুল, পিসি, মাহিশা, ফাইবার, উল, ব্লাজার ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের তুলা আছে । তবে শিমুল ও কার্পাস তুলার লেপ-তোষক বা বালিশ তৈরিতে খরচটা বেশি পড়ে।
*গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news