আমতলী প্রতিনিধি : আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শককে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করা হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ টেপুরা গ্রামের সিদ্দিক মাদবরের স্ত্রী নিলিমা আকতারকে বাড়িতে একা পেয়ে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার সময় হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক ও তার ৩ সহযোগী ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তার সহযোগী বাহাদুর মল্লিক, সোহেল মল্লিক ও হানিফ প্যাদার সহযোগিতায় গৃহবধূ নিলিমাকে ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।এ সময় তার চিৎকার শুনে স্বামী সিদ্দিক মাদবর স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে অফিস বাজারের মতি মাদবরের দোকানের সামনে দ্বিতীয় দফা মারধর করে এবং পুলিশকে না জানাতে শাসিয়ে যায়। এমনকি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতেও বাধা দেয় তারা। পরে ওইদিন গভীর রাতে চেয়ারম্যানের চোখ ফাঁকি দিয়ে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয় নিলিমা আকতারকে।পরে চিকিৎসা শেষে বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বরগুনার নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যনালে ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক ও তার ৩ সহযোগী বাহাদুর মল্লিক, সোহেল মল্লিক ও হানিফ প্যাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক মো. মশিউর রহমান খান বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. কালাম খানকে তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার পুলিশ পরিদর্শক মো. কালাম খান বলেন, আদালতের নির্দেশ এখনো হাতে পাইনি। হাতে পাওয়া গেলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে। ভিকটিম নিলিমা আকতার অভিযোগ করে বলেন, হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রায় আমাকে উত্ত্যক্ত করত। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) আমাকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় না পেরে আমাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। আমার স্বামী আমাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে। এমনকি আহত অবস্থায় আমাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও যেতে দেয়নি। পুলিশকেও না জানাতে শাসায় তারা। এ ঘটনার বিচার চাই আমি। এদিকে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই নারীকে আমি চিনি না। তার স্বামী একজন মাদক বিক্রেতা তার বিচার করায় আমার নামে এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আদালতের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
*গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত