বরিশাল বাংলাদেশ

বরগুনায় কপ -২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশের জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে প্রতিকী প্রদর্শনী

IMG 20231128 WA0001
print news

ইবরাহীম সোহেল, বরগুনা: দুবাইতে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৮ সম্মেলনে দেশের জলবায়ু পরিস্থিতি ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দাবি উপস্থাপনের আহ্বানসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্ব নিশ্চিত করার দাবিতে বরগুনায় প্রতিকী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় বরগুনা সদরের ছোট পোটকাখালী খাকদোন নদীর বেরিবাঁধ সংলগ্ন এ প্রতিকী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ ফর ইকোলোজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডাবলুজিইডি), কোষ্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনাভার্মেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক (ক্লীন) ও জাগোনারীর আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী প্রতিকী প্রদর্শনীতে বরগুনা সাইকেলিং কমিউনিটির (বিসিসি) সদস্যরাসহ অর্ধশতাধিক তরুণ ও স্থানীয়রা অংশগ্রহণ করেন।প্রতিকী প্রদর্শনীর মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করে বিকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাসহ কপ-২৮ সম্মেলনে ১১ টি দাবি উল্লেখ করে তা উপস্থাপনের আহ্বান জানানো হয়।দাবিগুলো হলো- ২০৩০ সালের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমন ২০০৫ সালের তুলনায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন নিশ্চিত করতে হবে। উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ নির্বিশেষে ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্পখাতে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

IMG 20231128 WA0003

জীবাশ্ম গ্যাস (এলএনজিসহ) ও পেট্রোলিয়ামে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সরবরাহ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিপদাপন্ন জনসাধারণের জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সরাসরি অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে। এলএমডি তহবিলে ঋণ কিংবা বেসরকারি বিনিয়োগ নয় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্রুত ও ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলো থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে এবং সহজ অর্থায়নের মধ্য দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে জিসিএফ-এ প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি ডলার দিতে হবে যাতে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু-ঝুঁকি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত হয়। জিসিএফ থেকে চরম বিপদাপন্ন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অভিযোজনে অধিকতর গুরুত্বারোপ করতে হবে। এছাড় এসব দেশে জ্বালানি খাতে ন্যায্য রূপান্তরে অর্থায়ন করতে হবে।জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাধ্যতামূলক বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে জলবায়ু উদ্বাস্ত ঘোষণা করে স্বাধীন ওসম্মানজনক অভিবাসনের অধিকার দিতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ মিথেন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কৃষিখাতকে এ লক্ষ্যমাত্রার বাইরে রাখতে হবে। এবং শিল্প পরিষেবা ও বাণিজ্যসহ সকল খাতে সবুজ রূপান্তরের অন্য স্পষ্ট ও বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

 

*গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *