ঝালকাঠিতে বিএনপির হরতালের মিছিলে ডিবি পুলিশের ধাওয়া লাঠিচার্জ আহত-২


ঝালকাঠি প্রতিনিধি : নির্বাচনী তপশিল বাতিল সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১ দফা দাবীতে বিএনপি এবং সমমনা দলের চলমান হরতালের পক্ষে মিছিল ও পিকেটিং করেছে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১১ টায় জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং পৌর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. নাসিমুল হাসান এর নেতৃত্বে শহরের ব্র্যাক মোড় এলকা থেকে মিছিল বের করে কিছুদুর অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে ঠহলরত ডিবি পুলিশের দল তাদেরকে ধাওয়া করে এবং লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ডিবি পুলিশের ধাওয়া ও লাঠি চার্জে ঝালকাঠী পৌর বিএনপির ২ জন কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়াছে। অপরদিকে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ্যাড. মোঃ আনিসুর রহমান খান এর নেতৃত্বে ঝালকাঠী শহরতলীর পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকায় ঝালকাঠী- পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বেলা ২ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে । বিকেল ৩ টায় ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আহমেদ সালাউদ্দিন এর নেতৃত্বে ঝালকাঠি – বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাপর এলাকায় মিছিল করেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। সকাল ১০ টার দিকে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদল নেতা মোঃ মাহফুজুর রহমান এর নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে সরকারী শিশু পরিবারের সামনের সড়কে। এদিকে ২৯ নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে ঝালকাঠী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ মুবিনুল ইসলাম সাদ্দাম এর নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে কৃষ্ণ কাঠির পাসপোর্ট অফিস এলাকায় মশাল মিছিল করেছে উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। মশাল মিছিল করে। হরতাল সমর্থনকারী নেতাকর্মীরা একতরফা তপশিল বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগ ও চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) এ্যাড. মিজানুর রহমান মুবিন কর্মসুচীর এসকল তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলা বিএনপি এবং সকল অঙ্গ সংগঠন রাজপথে থাকবে । হরতাল কর্মসূচিতে ঝালকাঠিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও সকলের মধ্যে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা রয়েছে । ঢাকাসহ দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আঞ্চলিক পর্যায়ে যানবাহন চললেও যাত্রী সংখ্যা খুবই কম ছিল। লঞ্চ চলাচল স্বাভাকি রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যপক উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। শহরের গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট সহ আঞ্চলিক মহাসড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।