রাজনীতি

আ.লীগের পক্ষের চেয়ে বিপক্ষে ভোট বেশি: মুজিবুল হক চুন্নু

image 747967 1701786775
print news

ঢাকা প্রতিনিধি :  জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দেশে ভোটের হিসাবে বিভিন্ন সময় দেখা যায় অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোট বেশি। অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোট আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি। আওয়ামী লীগের পক্ষের ভোটের চেয়ে বিপক্ষের ভোট অনেক বেশি। ২০০১ সালে আমার আসনে দেখেছি আওয়ামী লীগের চেয়ে অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোট ডাবল।মঙ্গলবার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ সময় আরও বলেন, আমরা ২৯৪ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিলাম। দাখিল করেছেন ২৮৮ জন, তাদের মধ্যে ৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়। আর ৫ বা ৬ জন নানান কারণে দাখিল করতে পারেননি। এখন ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। যাদের বাতিল হয়েছে, তারা আপিলে যাচ্ছেন। ইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছে এবার নির্বাচন ভালো হবে, কঠিনভাবে করবে যেন নির্বাচন ভালো হয়। দেখি ওনারা কী করেন।বিএনপি না এলেও নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। ভোটার কেন্দ্রে আসতে পারলে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভালো করতে পারব। তিনি আরও বলেন, বিএনপি কেন নির্বাচনে নেই, সেটা তো আপনারা জানেনই। তাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, বিএনপি তাদের টেকনিকে চলে, জাতীয় পার্টি তার নিজস্ব কৌশলে চলে। এজন্য আমরা ভোটে এসেছি। ভোটের পরিবেশ নিয়ে আমাদের দ্বন্দ্ব ছিল। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আমাদের জোরালোভাবে আশ্বস্ত করেছে, সরকার বলছে তারাও একটা পরিবেশ করার চেষ্টা করবে যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারেন। সাধারণ মানুষ যদি কেন্দ্রে আসার সুযোগ পান, আমার মনে হয় আমরা আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালো করব।ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইসি আমাদের সর্বোচ্চ আশ্বস্ত করেছে। আমাদের যে দাবি, যেন ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসতে পারেন, আসার যেন উৎসাহ পান, সেরকম একটা পরিবেশ ও ভোটাধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারেন, তার পরিবেশ। ইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছে। ইসিকে সহযোগিতা করার সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব সরকারের, তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে ভালো পরিবেশ হবে। সেই ভালো পরিবেশে আশ্বস্ত হয়ে বা আশ্বাস পেয়ে আমরা নির্বাচনের কাজ শুরু করেছি। ১৮ তারিখের পর মাঠে যাব, তখন বুঝব অবস্থা কী।তিনি আরও বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো প্রার্থীর তো মাঠে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা নির্বাচনের প্রাথমিক কাজগুলো সারছি। মনোনয়নপত্র দাখিল, অনেকের বাতিল হয়েছে। এসব জিনিস আমরা মনিটর করছি। আমরা নির্বাচনে পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝব প্রতীক বরাদ্দের পর, এর আগে কোনো প্রার্থীর ভোট চাওয়া বা প্রচার করার কোনো সুযোগ নেই।জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, মাঠে গিয়ে যদি জনগণের সঙ্গে বসে কথা বলা না যায়, তাহলে বাস্তবভাবে নির্বাচনে কী অবস্থা, সেটা এখন বলা মুশকিল। নির্বাচনের কী অবস্থা, মাঠের কী অবস্থা, তা ১৮ তারিখের পরে হয়তো বলতে পারব।

 

*গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *