খুলনা বাংলাদেশ

দখল, দূষণসহ ৬ কারণে খুলনা বিভাগের ২২ নদী সংকটাপন্ন

print news

ফকির শহিদুল ইসলাম,খুলনা : নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, শিল্প কারখানার দূষণ, পলি ভরাটসহ ৭টি কারণে খুলনা বিভাগের ২২টি নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ময়ূর ও কুমার নদ এবং কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের কালিগঙ্গার অবস্থা গভীর সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় নদী বাঁচাতে সরকার এবং স্থানীয় জনগণকে জোরারো পদক্ষেপ নিতে হবে। খুলনা বিভাগীয় নদী বিষয়ক কর্মশালায় এ সব তথ্য উঠে আসে। মঙ্গলবার সকালে নগরীর একটি হোটেলে এই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবীদ সমিতি (বেলা)। কর্মশালায় জানানো হয়, খুলনা বিভাগে মোট ৮৭টি নদ-নদী রয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি স্থানীয় নদী, ৫টি আঞ্চলিক নদী, ৮টি সীমান্ত নদী এবং তালিকাবিহীন নদী রয়েছে ২২টি। মূলত নদী দখল করে স্থাপনা, দূষণ, নদীতে অপরিকল্পনাভাবে বাঁধ, সেতু ও স্লুইচগেট নির্মাণ, খালের সঙ্গে নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন, নদীগর্ভে পলির অবক্ষেপন ও পলির অব্যবস্থাপনার কারণে নদীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে।

কর্মশালার সঞ্চালক বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, নদীর সঙ্গে মানুষের আত্মার সম্পর্কে আছে। নদীর পানির স্রোত আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। নদীকে আমরা মেরে ফেলতে পারি কিন্তু সৃষ্টি করতে পারি না। নদীকে বাঁচাতে না পারলে নিজেরাও বাঁচাতে পারবো না। আমাদের আগামী প্রজন্মকে সুন্দরভাবে বাঁচানোর জন্য নদীকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খাস জমি ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাহী পরিচালক সামছুল হুদা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরেফিন বাদল। শুরুতে ‘খুলনা বিভাগের নদ-নদী পরিস্থিতি : সংকট ও করণীয়’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল।

কর্মশালায় নদী বাঁচাতে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টিকারী সকল অবৈধ বাঁধ অপসারণ, সকল চর দখলমুক্ত করা, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এবং পরিবেশ বিধিমালা ১৯৯৭ কে বিবেচনায় রেখে নদীর দূষণ ও দখলমুক্ত করা, ১৯৯৫ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নদী-খাল ইজারা বন্ধ করা, পর্যায়ক্রমে নদীর সকল ধরনের বাঁধা অপসারণ, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নদের সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা এবং নদীর সঠিক সীমানা নির্ধারণ করে সীমানা সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।

খুলনায় বাগদত্তা তরুনীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নগদ অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট

খুলনায় একটি বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে ডাকাতি ও বাগদত্তা মেয়েকে দলবন্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে নগদ তিন লাখ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ণলঙ্কার লুট করেছে।মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ভোরে দিবাগত রাতে ডুমুরিয়া উপজেলার কৈয়া বাজার সংলগ্ন বাঁশগোলার পাশে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারটির প্রধান অবসর প্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা।ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কৈয়া বাজার সংলগ্ন এক তলা বাড়িতে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার ভোর রাতে অজ্ঞাত তিন দুর্বৃত্ত ছাদঘরের গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকতার ওপর চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অচেতন অবস্থায় ছাদের ঘরে ফেলে যান। পরে তারা নীচে নেমে তাঁর স্ত্রীকে একই কায়দায় অচেতন করে রান্না ঘরে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে সদ্য বাগদান (আর্শীবাদ) হওয়া মেয়ের ওপর স্প্রে করে প্রথমে অচেতন ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা বাড়ি থাকা তিন লাখ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ণকার লুট করে পালিয়ে যায়। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার জ্ঞান ফিরলে তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়ে ও তাঁর অসুস্থ্য মাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে গোবিন্দ নামে একজন যুবক বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল।ওই প্রস্তাবে মেয়ের পরিববার রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছে। তাকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সনাক্ত করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *