রাজাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় শীর্ষে মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধা


মামুনুর রশীদ নোমানী : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষনায় উপজেলার সর্বত্র আলোচনা শুরু করেছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। কে হচ্ছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী।রাজাপুর উপজেলাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জোর আলোচনা চলছে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধার কর্মী সমার্থক ও সাধারন মানুষের মাঝে। অন্য প্রার্থীর আলোচনা শোনা যাচ্ছে কম। এই উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক আওয়ামীলীগের ত্যাগি নেতা গনমানুষের আস্থাভাজন মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধা। জানাগেছে, রাজাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে সাতুরিয়া, শুক্তাগড়,গালুয়া,রাজাপুর ,বড়ইয়া ও মঠবাড়ি।
এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী আলোচনায় আছেন রাজাপুর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা মিলন মাহমুদ বাচ্চু। তিনি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাছাড়াও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে
এলাকার মানুষের সেবা করেছেন। ছাত্র জীবন থেকে এ যাবদ কাল পর্যন্ত সুখে দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তিনি নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন। তার রয়েছে এলাকাব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি। আছে স্বচ্ছতা ও বিচক্ষণতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ বুকে ধারণ করে দলের দূর্দিনে রাজপথে থেকে দলকে সুসংগঠিত রেখে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সর্বদা অনুগত থেকে দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের ও এলাকার মানুষের মনিকোঠায় অবস্থান করেছেন তিনি।
রাজাপুরের সাধারন মানুষ জানিয়েছেন একজন জননেতা যেমন হওয়া উচিৎ মিলন মাহমুদ বাচ্চু তেমনই। তিনি স্বচ্চ ও বিচক্ষণ ব্যক্তি। তাছাড়া সে দলের ত্যাগী নেতা। আমরা দলের নিবেদিত প্রাণ এই ব্যক্তিকেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেখতে চাই। আশা করছি মিলন মাহমুদ বাচ্চুই এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হবেন। দল মত নির্বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে সবাই তাকে ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে। বাচ্চু মৃধা অত্যন্ত মানবদরদী । আজীবন রাজনীতি করেছেন মানুষের সেবায় নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখে চলেছেন। আমরা তাকে এবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেখতে চাই বলে জানান, রাজাপুরের সাধারন মানুষ। এ উপজেলায় দলমত নির্বিশেষে যার কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে, সবাই এক বাক্যে মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। স্থানীয়দের বিবেচনায় তাই রাজাপুর উপজেলায় জনপ্রিয়তায় ও আলোচনায় সবচেয়ে এগিয়ে মিলন মাহমুদ বাচ্চু মৃধা ।
এদিকে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি,আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের হয়রানী,গ্রুপিং সৃষ্টি,নিজের আখের গোছানোসহ অভিযোগের পাহাড় তার বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে এবারে রাজাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধ্যক্ষ মনিরুজ্জমানের পক্ষ নেই কোন আলোচনা। এ ছাড়া আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানের ওপর ক্ষুব্ধ কারন তিনি আওয়ামীলীগের লোকদের হয়রানী করেছেন। এদিকে তিনি সড়কসহ অন্যান্য উন্নয়ন তার জন্মস্থান পালটকে ঘিরেই করেছেন। অন্য কোথাও তিনি উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন করেন নি। সম্প্রতি রাজাপুরের সাংবাদিক সায়েম আকন ফেসবুকে একটি মতামতের জন্য পোস্ট করেছিলেন সেখানেও দেখা গেছে মিলন মাহমুদ বাচ্চু শীর্ষে।