বরিশালে বদলি হয়েও চসিকের প্রধান প্রকৌশলী পদে রফিকুল


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা পাইনি। পেলে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।’চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে বরিশাল সিটি করপোরেশনে বদলি করা হলেও তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি।অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নবীউল ইসলামকে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদায়ন করা হলেও তার যোগদানপত্র কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।চসিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে বরিশাল সিটি করপোরেশনে বদলি করে অফিস আদেশ জারি করে। ওই আদেশে বলা হয়, ২২ নভেম্বরের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। অন্যথায় ২৩ নভেম্বর থেকে তিনি স্ট্যান্ড রিলিজ হিসেবে গণ্য হবেন, কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনে যোগ দেননি তিনি।চসিকের সূত্রটি জানায়, অসুস্থতার ‘অজুহাতে’ হাসপাতালে ভর্তি হন রফিকুল। তার পক্ষে অবস্থান নেয় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ।এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৯ নভেম্বর মো. নবীউল ইসলামকে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে বদলি করে।নবীউল জানান, ২১ নভেম্বর তিনি চসিকের মেয়রের কাছে যোগদানপত্র দিলে সেটি তিনি গ্রহণ করেননি। এরপর বদলি আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। হাইকোর্ট মন্ত্রণালয়ের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন নবীউল।আপিল বিভাগ আট সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। আপিল বিভাগের আদেশের বিষয়ে গত ৬ ডিসেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে একটি মতামত পাঠায়।এতে বলা হয়, ‘সরকারি আদেশ অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর রফিকুল ইসলাম প্রধান প্রকৌশলী পদ থেকে অবমুক্ত হয়ে যাওয়ায় তিনি আর ওই পদে নেই। প্রধান প্রকৌশলী পদে নবীউল ইসলামের যোগদান করতে কোনো আইনি বাধা নেই।’সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রফিকুল এখনও প্রধান প্রকৌশলী পদে বহাল আছেন।আপিল বিভাগের এ আদেশের পরও চসিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ নবীউলের।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মো. নবীউল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বদলি করলে আমি যথাসময়ে সেখানে গিয়ে যোগদানপত্র জমা দিলেও মেয়র মহোদয় গ্রহণ করেননি। আমি এখন ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছি।’এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।গত মাসে তিনি এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন, ‘আমার অবসরের সময় দুই মাসও নাই। অবসরের পর আমার প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধাগুলো এখান থেকে গ্রহণ করতে হবে। অন্য করপোরেশনে গেলে সুযোগ সুবিধাগুলো পেতে সমস্যা হবে।‘অবসরের পর সুযোগ-সুবিধা পেতে যাতে সমস্যা না হয়, তাই অবসরের ১৩ মাস পূর্বে বদলি না করার বিষয়ে পরিপত্রও জারি করা আছে। এটা এখন আইনি বিষয়। আদালতেই সিদ্ধান্ত হবে।’নবীউলের যোগদানপত্র গ্রহণ না করার বিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা পাইনি। পেলে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news