দশমিনায় থাই জাফরান গাছে থোঁকায় থোঁকায় ফলের সমারোহ


আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল,দশমিনা(পটুয়াখালী) :
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় থাই জাফরান গাছে থোঁকায় থোঁকায়
ফুল ও ফলের ভরে গেছে। এই ফলের গাছ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা
দিয়েছে। জাফরান গাছ অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন
করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। থাই জাফরান গাছ অত্র এলাকার
আবহাওয়া এবং পরিবেশ বেশ উপযোগী। উপজেলায় একমাত্র গাছটি
উপজেলা সদরে দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধির বাড়িতে শোভা পাচ্ছে।
গাছটি বেশ ছোট হলেও ধোঁকায় ধোঁকায় ফুল ও ফলে শোভা ভরে
গেছে।
বানিজ্যিক ভাবে রোপন করা হলে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে আশা
করছে এই অঞ্চলের সাধারন মানুষ। এলাকাবাসীর ধারনা এই গাছ বপন করা
হলে আমদানী নির্ভর জাফরান আর বিদেশ থেকে আমদানী করতে হবে না।
থাই জাতের জাফরান গাছ রোপন করার আগ্রহ সাধারন মানুষের বেড়ে
গেছে। পরিত্যক্ত জমিতে অধিক উৎপাদন ও লাভজনক হওয়ায় সাধারন মানুষ
ফলনশীল এবং দামী জাফরান গাছ রোপনের দিকে ঝুঁকছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাফরান গাছটিতে ধোঁকায় ধোঁকায় ফল
ধরেছে। ফল ভেঙ্গে বীজ সংরক্ষন কিংবা বীজ গুড়া করে খাদ্যে বাড়তি স্বাদ
বাড়ানো যায়। আমদানী নির্ভর জাফরান বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ করা
হলে এবং প্রক্রিয়াজাত করনের ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে অর্থনীতিতে
নতুনমাত্রা যোগ হবে পারে। জানা যায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে
উপকূলীয় উপজেলা দশমিনায় থাইল্যান্ড থেকে একটি জাফরান গাছ এই
সাংবাদিকের বাড়িতে এনে রোপন করা হয়। চারাটি যতœ নেয়ায় গাছ
বেড়ে গেছে এবং ফুল আসতে শুরু করেছে। রোপিত গাছে ধোঁকায়
ধোঁকায় ফল আসতে শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাফর আহমেদ জানান, থাই জাতের
জাফরান চারা রোপনে সাধারন মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ আছে। তিনি
জানান, এই জাতের গাছে ফুল আসতে ২ থেকে ৩ বছরের অধিক সময়
লেগে যায়। জাতের গাছ রোপনের ৩ বছরের মধ্যেই গাছে ফুল ফুটতে
শুরু করে। এই জাতের গাছ সব ধরনের মাটিতেই রোপন করা যায়।
গাছগুলো ছোট হওয়ায় পরিচর্যা করাও বেশ সহজ। ফলে সকলেই এই
জাতের গাছ রোপন করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news