দশমিনায় পলো উৎসবে দেশী প্রজাতির মাছ ধরার হিড়িক


আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল,দশমিনা (পটুয়াখালী) :
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন
গ্রামাঞ্চলের খাল-বিল,নালা, পুকুর, জলাশয়, ডোবা ও বিল-ঝিলে
নির্বিযেœ ছোট-বড় মাছ ধরার মহোৎসব শুরু হয়েছে।
ইউনিয়নের খালে-বিলে সকাল থেকেই পেশাদার ও অপেশাদার জেলেরা
মাছ ধরার পলো নিয়ে খালে ঝাপিয়ে পড়েছে। উপজেলার মাছের ক্ষেত্র
হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী,
চরবোরহান,দশমিনা,বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন সহ চরাঞ্চল এখন
মাছ শূন্য হয়ে গেছে। উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং,
কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা,
আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলে সহ অর্ধ শতাধিক প্রজাতির
মাছ প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে। বিশেষ করে নদীর মাছ
হিসাবে পরিচিত পোয়া,ইলিশ,আইড়,রিটা যার দেখা এখন
অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।
উপজেলার সর্বত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার,কৃষি
জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার,বর্ষাকালে প্রজনন
মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছ সহ পোনা নিধন,শুস্ক মৌসুমে
মাছ ধরার প্রবনতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়া সহ
প্রভৃতি কারনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে পরিচিত
মৎস্য সম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন
মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ
ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ
দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র
দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই।
চাষকৃত মাছের কাছে দেশী প্রজাতির মাছ টিকতে না পেরে
হারিয়ে যাচ্ছে। মাছ না থাকায় পলো উৎসব এখন আর আগের মত
জমছে না।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news