দশমিনায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম হত্যার ঘটনায় মা ও চাচা আটক


আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল,দশমিনা(পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন থেকে
তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম (৮) হত্যার ঘটনায় আপন মা রিনা বেগম ও
চাচা সেন্টু মিয়াকে আটক করা হয়। আলোচিত ঘটনা হওয়ায়
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেন। উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন রামবল্লভ গ্রামে শিশুটির
বাড়ির পূর্বপাশে পরিত্যক্ত ভিটা থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছেন দশমিনা
থানা পুলিশ। জানা যায়, মরিয়ম ঐ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রামবল্লভ
গ্রামের মৃধা বাড়ির মকবুল মৃধার দ্বিতীয় মেয়ে। সে রামবল্লভ সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে পরিবারের
সদস্যরা মরিয়মকে দেখতে না পেয়ে দুই ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির
পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত ভিটায় খুঁজতে গেলে তারা ঐ শিশুর
মৃতদেহটি দেখতে পায়। পড়ে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন
ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। খবর পেয়ে দশমিনা থানা পুলিশ মরিয়মের রক্তাক্ত
মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত মরিয়মের মা রিনা বেগম বলেন, দুই বছর ধরে
আমার বাড়ির রাজ্জাক মৃধা, হারুন, বারেক,আবুল ,শাহজাহান ও
জাকিরদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। আজ সন্ধ্যার সময় এদের
কয়েকজনকে আমার ঘরের সামনে ঘুরতে দেখি। জমিজমার বিরোধের
কারণে মনে হয়ে এরা আমার মেয়েকে বাড়ির পূর্বপাশের ভিটায় নিয়ে
হত্যা করেছে।
মরিয়মের বাবা মকবুল মৃধা বলেন,্#৩৯;জমিজমা নিয়ে বিরোধর কারণে
রাজ্জাক, হারুন, বারেক, আবুল, শাহজাহান ও জাকির বহুবার মারধর করেছে
আমাকে। কয়েক দিন আগে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরাই আমার
মেয়েকে আজ ভিটায় এনে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে
অভিযোগ এসেছে তারা পলাতক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে শিশু মরিয়মের
মাথায় কোপ ও গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন দেখা যায়। নিহত মরিয়মের
পিতা মকবুল মৃধা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায়
মামলা দায়ের করেছে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news