পিরোজপুরের নাজিরপুরে দেড় কিলোমিটার রাস্তায় ২১টি বাঁশের সাঁকো


পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ৩ নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়ন, যেখানে এখনো মানুষের মূল পেশা কৃষিকাজ। রাস্তার অভাবে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়তে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলা থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার উত্তরে দেউলবাড়ী গ্রামে ডুমুরিয়া নেছারিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা সংলগ্ন পশ্চিম পাড় থেকে ইন্দ্র মণ্ডলের বাড়ি পর্যন্ত স্থানীয়দের উদ্যোগে ২০২৩ সালে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় রাস্তাটি নির্মাণে মাটির সংকটে পড়তে হয় তাদের। ফলে ছোট ছোট খাল, নালা ভরাট করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। দেখা গেছে, অত্র রাস্তাটিতে ২১টি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, এক-দুইদিনের নয়, বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে। নৌকা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ না থাকায় রাস্তার উপর নির্মিত এ সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। উভয় পাড়ের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের বাজারে যেতে, দূর-দূরান্ত থেকে আগত অনেক মেহমানদের সাঁকোতে চড়ার অভ্যাস না থাকাতে এবং ছোট ছোট শিশুরা দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
অনেকেই সাঁকো হতে পড়ে গিয়ে মোবাইল ফোনসহ দামি জিনিসপত্র হারিয়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোগুলো পারাপার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় পা পিছলে পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট ও আহত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। রাস্তা সংস্কার ও ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর স্থানে এখনো কোনো কালভার্ট অথবা ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা হয়নি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম রফিকুল আলম বাবুল বলেন, পূর্বে এ জায়গায় কোনো রাস্তাই ছিল না। আমি সেখানে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজের মাধ্যমে রাস্তাটি উঁচু করে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়