প্রেমের টানে কিশোরগঞ্জে মালয়েশিয়ান তরুণী


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রেমের কাছে বরাবরই দূরত্বসহ জটিল বাধা-বিপত্তি হার মানে। আড়াই হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে প্রেমিক দ্বীন মোহাম্মদের কাছে ছুটে এসে এ সত্যকেই আরেকবার প্রমাণ করলেন মালয়েশিয়ান তরুণী মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকে (২৫)। তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর শহরের ক্যালকলামপরায় সিরাম্বুল গ্রামের মিসকে বিন আলীর মেয়ে।প্রেমিক দ্বীন মোহাম্মদ (২৮) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌরসভার ঘোনাপাড়া এলাকার মো. রেনু মিয়ার ছেলে।মঙ্গলবার এক মাসের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী। ওই দিনই তিনি প্রেমিক দ্বীন মোহাম্মদের নিজ গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন।জানা গেছে, মালয়েশিয়ান তরুণী আসার খবর আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাকে এক নজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমান বিভিন্ন বয়সের উৎসুক নারী-পুরুষ।প্রেমিক যুবক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ৯ বছর আগে আমি মালয়েশিয়া যাই। ২০১৯ সালে কুয়ালালামপুর শহরে একটি পার্সের দোকানে চাকরির সময় পরিচয় হয় মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকের সঙ্গে। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। আমাদের দীর্ঘ প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক। সেখানে তার পরিবারের সম্মতিতেই আমাদের বিয়ে হয়। সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশে আসার পর মঙ্গলবার আমার গ্রামের বাড়ি করিমগঞ্জ পৌরসভার ঘোনাপাড়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে আনুষ্ঠানিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় এক লাখ টাকা। কিছুদিন পর আমরা দুজনই আবার মালয়েশিয়ায় যাব।এলাকাবাসী সংস্কৃতি কর্মী জাহাঙ্গীর কবির পলাশ জানান, প্রেম মানে না শাসন-বারণ। প্রেমানুভূতির নেই কোনো সীমানা। সাত সাগর তেরো নদী পেরিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার মিলনেই যেন সার্থকতা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন মালয়েশিয়ান তরুণী মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকে।মালয়েশিয়ান তরুণী মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকে বলেন, দ্বীন মোহাম্মদ আমাকে ভালোবাসে; আমিও দ্বীনুকে ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে আমি আমার পরিবার ও দ্বীনুর পরিবারের সম্মতিতে মঙ্গলবার রাতে দুজন আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেছি। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এখানকার সবাই ভালো ও আন্তরিক। দ্বীনুর পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্য ভাই ও বোনেরাও আমাকে আপন করে নিয়েছেন। তারা যেন সুখী হতে পারে এজন্য সবার কাছে দোয়া চান মালয়েশিয়ান তরুণী মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকে।দ্বীন মোহাম্মদের বড় ভাই খাইরুল ইসলাম বলেন, দুই পরিবারের সম্মতিতেই ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক আবারো তাদের বিয়ে পড়ানো হয়েছে। আমার ভাইয়ের স্ত্রী ভালোমনের মানুষ। আমাদের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে সহজেই মিশে গেছেন।এ বিষয়ে করিমগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ূম বলেন, এটা আমার পৌরসভার ঘটনা। ঘটনাটি বরপক্ষের পরিবার আমাকে জানিয়েছে। তবে সরাসরি দেখা হয়নি। আমি ওই দম্পতির সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়