অনুসন্ধানী সংবাদ

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্ধশতাধিক যন্ত্রপাতি অচল

0d61b43c22eb2d12b0a20e8e9e16ed8d 65eb7737bfa0e
print news

খুলনা প্রতিনিধি :খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে। যার কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাষায়, মেরামতযোগ্য অচল এসব মেডিকেল যন্ত্রপাতি দ্রুত ব্যবহারোপযোগী করা না গেলে রোগীদের দুর্ভেগ দীর্ঘায়িত হবে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিনের ব্যবহারে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মেডিকেলের গুরুত্বপূর্ণ ৫১ যন্ত্রপাতি অচল হয়ে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে এগুলো মেরামতযোগ্য।এসব অচল যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে পাঁচটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, দুটি এক্সরে মেশিন, ২৫টি নেবুলাইজার মেশিন, ৬০টি অক্সিজেন মিটার, তিনটি অক্সিজেন ফ্লো মিটার, দুটি মাইক্রোস্কোপ, পাঁচটি ব্লাড ব্যাংক রেফ্রিজারেটর, পাঁচটি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, তিনটি ল্যাপারেস্কোপি মেশিন, ছয়টি আইসিইউ ভেন্টিলেটার, ১২টি কার্ডিয়াক মনিটর, ছয়টি আইসিইউ বেড, আটটি ওটি টেবিল, দুটি ওটি লাইট, ১৮টি পালস অক্সিমিটার, ছয়টি ডায়াথারমি মেশিন, তিনটি অটোক্লেভ মেশিন, ১১টি সাকার মেশিন, চারটি ইসিজি মেশিন, দুটি জেনারেটর, ২২টি এসি ও দুটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর।ব্যবহার অনুপযোগী এ সব গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশের কারণে চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি এগুলো মেরামতের জন্য খুমেক হাসপাতালের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ সব মেশিনারিজ সচল করা গেলে রোগীদের আরো ভালোভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খুমেক হাসপাতালের এক্সরে বিভাগের সামনে গিয়ে রোগীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা থেকে আসা মনিরুজ্জামান নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, একঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এক্সরে রিপোর্ট নিতে পারছি না।প্রায় একই ধরনের কথা বলেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা থেকে আসা শাহজাহান আলী। তিনি বলেন, এত বড় একটি হাসপাতাল। খুলনা বিভাগসহ আশপাশের সব জেলা-উপজেলা থেকে এখানে রোগীরা ভালো চিকিৎসা পেতে আসেন। এখানে আসার পর যদি অতিরিক্ত টাকা খরচ করে রক্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য বাইরের প্যাথলজিতে যেতে হয়, তার চেয়ে দুঃখজনক আর কী আছে?খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক্সরে বিভাগের ইনচার্জ আলতাফ হোসেন বলেন, এক্সরে বিভাগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনবল সংকট। এখানে পদের সংখ্যা ৯টি। সেখানে আছে মাত্র তিন জন। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ রোগীর এক্সরে করতে হয়। তারপর রিপোর্ট তৈরির ব্যাপার আছে। মাত্র তিন জনের পক্ষে রোগীদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।তিনি আরো জানান, চারটি এক্সরে মেশিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি নষ্ট হয়ে আছে। রোগীদের চাপের কারণে জরুরিভাবে এখানে আরো এক্সরে মেশিনের প্রয়োজন।খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী বলেন, ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন ধারণ ক্ষমতার প্রায় চার গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেই তুলনায় হাসপাতালে সুযোগ-সুবিধা কম।তিনি বলেন, সার্জারি রোগীদের ক্ষেত্রে বেড অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে ক্ষেত্রবিশেষে অপারেশনের জন্য রোগীদের ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে এই হাসপাতালে বিশেষায়িত কোনো অপারেশন থিয়েটার (ওটি) নেই।

 

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *