বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গপাশা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে দুই বছর ৬ মাস বয়সের এক শিশুকে কুপিয়ে আহত ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় ৭ মার্চ একটি মামলা হয়। ওই মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। দুর্গপাশা ইউনিয়নের জিরাইল গ্রামের হারুন তালুকদারের দ্বিতীয় বিবাহকে কেন্দ্র করে দুর্গপাশা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত্যু, কুতুব উদ্দিনের কন্যা মাকসুদা বেগমের সাথে হারুন তালুকদারের প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
হারুন তালুকদারের কন্যা নিশাত সাংবাদিকদের জানান, দুর্গপাশা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কুতুব উদ্দিনের কন্যা মাকসুদা বেগমের স্বামীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার রায়পুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রগহিরা গ্রামে। তার স্বামী গত ৬ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। তার স্বামীর মৃত্যুর পরে আমার পিতা : হারুন তালুকদারের সাথে চার বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় মাকসুদা বেগম। বিভিন্ন স্থানে আমার বাবা ঐ মহিলাকে নিয়ে রাত কাটায় ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে অনেক আগেই। এরপর থেকে আমার মা ও ভাইবোনদের সাথে বাবার সম্পর্কের অবনতি দেখা দেয়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মাকসুদা বেগমের বোন মোর্শেদা বেগম মৃত্যুবরণ করেন। বোনের মৃত্যুর পরে মাকসুদা বেগম ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকেরগঞ্জের দুর্গপাশা ইউনিয়নে মৃত মোর্শেদা বেগমের বাড়িতে অবস্থান করলে আমার ভাই মো: মুন্না তালুকদার মাকসুদা বেগমের কাছে বিবাহর বিষয় জানতে চেয়ে ৪ মার্চ সকার ১০ টায় মাকসুদা বেগমের মৃত বোনের স্বামীর বাড়িতে গেলে মাকসুসা বেগমের সাথে আমার ভাই মুন্নার সাথে বাগ বিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। তখন মাকসুদা বেগমের কোলে থাকা দুই বছর ছয় মাসের শিশু মাথায় আঘাত পেয়ে ফাতিমা আহত হয়। শিশু আহত ঘটনা কেন্দ্র করে মাকসুদা বেগম আমার মা ফাতেমা বেগম ও আমাকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আমার দুই ভাই মুন্না তালুকদার ও আবু ফাহাদ সহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
উক্ত মামলায় মাকসুদা বেগম উল্লেখ করেছেন, তার সাথে হারুন- তালুকদারের সাথে কোন সম্পর্কই নাই।অথচ শিশু আহত ঘটনার বিষয় মাকসুদা বেগম সাংবাদিকের কাছে সাক্ষাৎকারে বলেন তার সাথে হারুন তালুকদারের বিবাহ হয়েছে চার বছর আগে। আমার বাবার প্রথম স্ত্রীর সন্তান সংসার থাকা অবস্থায়ও মাকসুদা বেগম আমার বাবার সাথে বিবাহ বসে আমাদের সুখের সংসার নষ্ট করে দিয়েছে। এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
আমি আমার সন্তানদের নিয়ে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকায় বসবাস করে আসছি। উক্ত মামলায় আমাকে ৪নং আসামি করা হয়েছে ও আমার ভাই আবু ফাহাদকে ২নং আসামি করা হয়েছে। আমার ভাই আবু ফাহাদ ঢাকা বসুন্ধরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বেঙ্গল বিস্কুট কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। শিশু আহত ঘটনার দিন আমি ও আমার ভাই ঢাকায় অবস্থান করেছিলাম। আমরা ঢাকায় অবস্থানরত ছিলাম যাহার প্রমাণ হিসেবে আমাদের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট সহ সকল প্রকার তথ্য প্রমাণও রয়েছে। শিশু আহত ঘটনার মামলা আমাকে ও আমার ভাই আবু ফাহাদকে মিথ্যা আসামি করা হয়েছে। মিথ্যা মামা থেকে অব্যাহত পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিশাত তালুকদার। এই ঘটনায় মামলার বাদি মাকসুদা বেগমকে বারবার ফোন করা হলেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত