খুলনায় ধর্ষণ মামলার আসামি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে, হুমকির মুখে বাদী


খুলনা প্রতিনিধি : খুলনায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অপরদিকে বাদী দাবি করছেন আসামিদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন। ধর্ষণ, অপহরণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা হয়। খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশও দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ মামলা নেয়। কিন্তু এর ৪ দিন অতিবাহিত হলেও একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।রোববার ইউনিয়ন পরিষদে দাপ্তরিক কাজ করেছেন মামলার অন্যতম আসামি রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী নেতা গাজী তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ। অন্য আসামিরাও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে পুলিশের দাবি তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধান আসামি ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ রোববার কার্যালয়ে যাননি। ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।এ ছাড়া ভুক্তভোগী তরুণী ও তার মাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছিল। শুক্রবার খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে ওই তরুণীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়। তবে তার জবানবন্দির কোনো রেকর্ড অর্ডারশিট থানায় আসেনি। তাই জবানবন্দিতে ওই তরুণী কী উল্লেখ করেছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কী আদেশ দিয়েছেন, সেসব ব্যাপারে এখন কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। অর্ডারশিট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে রোববার পর্যন্ত জবানবন্দির বিষয় ডুমুরিয়া থানা পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি। চেয়ারম্যান এজাজ ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলো- তার চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, তার ভাই গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম সুমন, সাদ্দাম গাজী ও ইমরান হোসাইন। এদিকে মামলার বাদী ওই তরুণীর ভাই অভিযোগ করে বলেন, রোববারও রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান তার কার্যালয়ে সারাদিন ছিলেন। অন্য আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে। তবুও পুলিশ কাউকে ধরছে না। আসামিদের লোকজন আমাকে ফোনে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি, তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে সরজমিন গিয়ে মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান গাজী এজাজকে রোববার তার অফিসে দেখা যায়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরী বলেন, বাদী নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপারে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়