বাকেরগঞ্জে মেরিন ফিশারিজ অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ


বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি : বরিশালের বাকেরগঞ্জে মেরিন ফিসারি অফিসার তুষার দাসের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার হলে অনৈতিক সুবিধা দিতে সম্মানি ভাতার নামে উৎকোচ আদায়, মৎস্য তালিকায় নয়ছয় করে টাকা আত্মসাৎ, জেলেদের অভিযানের নামে হয়রানি করে ঘুষ আদায়, ঘুষ না পেয়ে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেরিন ফিসারিস অফিসার তুষার দাস প্রতি পরীক্ষায় ২ হাজার করে উৎকোচ নিয়ে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে আসছেন পরীক্ষার্থীদের। এ ঘটনা জানা জানি হলে রামনগর জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা কামাল বিষয়টি জানতে গেলে তাকে হেনস্তা করেন তিনি। মোস্তাফা কামাল জানান, তুষার দাস নিয়ামতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের সুুবিধা দিলেও আমার বিদ্যালয় থেকে অনৈতিক সুবিধা না পাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের উপর কড়া নজর রাখেন। তার আতঙ্কে পরীক্ষার্থীরা খাতায় ঠিকমতো লিখতেও পারেননি। এ বিষয় পরীক্ষার্থীরা আমার কাছে অভিযোগ দিলে বিষয়টি জানার জন্য তার কাছে গেলে তিনি আমার উপর উত্তেজিত হয়ে যান। আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। একপর্যায়ে অন্য এক শিক্ষকের সহায়তায় আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন তুষার দাস। একই কেন্দ্রে দুই নিয়ম কীভাবে হয় এটা আমার জানা নেই। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাবো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, তুষার দাসকে প্রতি পরীক্ষায় ২ হাজার করে দিতে হয়।
টাকা না দিলে নানা অজুহাতে পরীক্ষার্থীদের হয়রানি করেন তিনি। আরেক শিক্ষক জানান, টাকা দেয়ার বিষয়টি নিয়মে পরিণত হয়েছে। বলতে গেলে সব কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সম্মানি দিতে হয় তাদের চাহিদা মতো। তুষার দাসের উৎকোচ আদায়ের বিষয়টি জানাজানি হলেও রহস্যময় কারণে তাকে দিয়েই ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করানোর অভিযোগও রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে তিনি শর্ষি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি অবৈধ জাল উদ্ধার করা ১ পিস ৩ খণ্ড করে ৫ পিচ দিয়ে পুড়িয়েছে। বাকি জাল কেজি দরে বিক্রয় করেছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে মানবজমিনকে বলেন, তুষার দাসকে টাকা দিলে অবরোধের সময় মাছ ধরতে কোনো বাধা থাকে না। এমনকি এ সময় তিনি চুক্তি করে নেন কে কতো টাকা দিবেন। গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন তিনি। তার ভয়ে অনেকে এ পেশা ছেড়ে দেয়ার আতঙ্কে আছেন। তার কথামতো জেলেরা না চললে তাকে তালিকা দিয়ে বাদ দেয়ার হুমকি দেন তুষার।তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন তুষার দাস। পরীক্ষার হলের টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, একদিন পর পর ২-১ হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া বাবদ দেয়া হয়েছে। এটা কোনো ঘুষ বা অন্যকিছু না। টাকা দেয়ার সঙ্গে কেন্দ্রে ডিউটির কোনো সম্পর্ক নেই। ডিউটিরত অবস্থায় কোনো পরীক্ষার্থীকেই কোনো ধরনের অনৈতিক সুবিধা দেয়া হয়নি।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়