সংবাদ এশিয়া

বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে ব্যবসায় নেমেছিলেন! তিনি এখন ওয়াও মোমোর মালিক

IMG 20240111 WA0001 750x375 1
print news

প্রথম কলকাতা: ছেলে ব্যবসা করবে বাবা কিছুতেই মানতে চায়নি। জোর করে ব্যবসায় নামা সেই ছেলেই এখন Wow Momo-র মালিক। বাংলার নিজস্ব মোমো-র ব্র্যান্ড এখন সারা দেশে জনপ্রিয়। এর পিছনে কতটা পরিশ্রম রয়েছে জানেন?তাঁর দ্বারা অঙ্ক হবে না, বুঝেই গিয়েছিলেন। হাতে সম্বল বলতে ছিল মাত্র ৩০ হাজার টাকা। শুধু মোমো খাইয়ে কীভাবে কোটিপতি হওয়া যায়, তা কলকাতার এই ছেলের জার্নি শুনলে অবাক হবেন । প্রথম ২ বছরে এমন সঙ্কট এসেছিল । ব্যবসা বন্ধ হতে চলেছিল প্রায় । সেখান থেকে টার্নিং পয়েন্টটা কীভাবে আসে? আসলে স্বপ্ন দেখলে তা পূরণ করার সাহস রাখতে হয়। সাধারণ একটা মোমোর দোকান থেকে Wow Momo- ব্র্যান্ড কীভাবে হল?শুনুন সেই গল্প।

ছোট থেকেই নাকি শিল্পপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সাগর। কলকাতায় দারিয়ানি পরিবারের রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের কমার্সের ছাত্র । সাগর কোর্সের শেষ পরীক্ষায় মোক্ষম বুঝেছিলেন তাঁর দ্বারা অঙ্ক হবে না। তাই ক্যাট দিয়ে এমবিএ বা চার্টার অ্যাকাউন্ট হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। পরীক্ষার রাতগুলিতে বন্ধুরা একসাথে পড়তে বসলে প্রায়ই রাত হয়ে যেত। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তো খিদেও। ফলে অনেক সময়ই রাতের দিকে বন্ধুরা মিলে স্যান্ডুইচ, চাউমিন বানাতেন। সেই দলেই এক নেপালি বন্ধু বিনোদকুমার হুমাগাই মোমো বানাতে পারতো। এভাবেই ব্যবসার আইডিয়া মাথায় চলে আসে। সাগর ও বিনোদ মিলেই ৩০,০০০ টাকা দিয়ে প্রথমটা শুরু করেন যাদবপুরে।

সেই সময় কলকাতায় ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে মোমো।সাগরের বাবা-মা চেয়েছিলেন আরও পড়াশোনা করুক। ছেলের ব্যবসার কথা শুনে বাবা রেগে কাঁই।বাবার অবাধ্য হয়েই ব্যবসার দিকে পা বাড়ান। সেখান থেকে আজ তাঁদের ব্যবসা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে অনেক দূর। গোটা দেশের ১৩টি শহরে প্রায় ২৮০ টি কিয়স্ক। ছোট ও মাঝারি আউটলেট ও বড় ইটিং জয়েন্ট সংস্থায় কর্মরত প্রায় ২৫০০ কর্মী।

২০০৮ সালে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কলকাতায় প্রথম মোমোর ফুড জয়েন্ট খোলেন ।মাত্র একটি টেবিল এবং দু’জন রাঁধুনি নিয়ে শুরু হয় পথচলা। ক্রমে এক থেকে দুই ও পরে সাউথ সিটি মলে আরও একটা দোকান। ধীরে ধীরে ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে ওয়াও মোমো। তবে ব্যবসা ভালোভাবে এগোচ্ছিল কিন্তু করোনার ধাক্কায় প্রথম একমাসেই ৬ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয় কোম্পানি। এই ক্ষতির পরিমাণ ছিল মারাত্মক। কিন্তু হোম ডেলিভারি বাঁচিয়ে দেয় এই সংস্থাকে। আর ওই সাহস ছিল সঙ্গী।

এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতি মাসেই একটি করে দোকান খুলছে তারা। ২০১১ সালে প্রথমবার শহর থেকে বেরিয়ে সামনে তাকানো শুরু। বেঙ্গালুরুতে শুরু হয় দোকান। সাগরের কথায় মানুষ যদি পিৎজা, বার্গার এতো ভালোবেসে খায় তবে মোমো কেন নয়? আর এখন সেই ওয়াও মোমো শুনলে জিভ দিয়ে জল পড়েনা এনন মানুষ কমই আছেন।

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *