হলমার্ক কেলেঙ্কারি মামলায় রায় শুনে পালিয়ে যাওয়া চেয়ারম্যান কারাগারে


ঢাকা প্রতিনিধি : হলমার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় সাজার রায় শুনে পালিয়ে যাওয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। না বুঝেই সেদিন আদালত থেকে চলে যান বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী।
জামাল উদ্দিন রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আর কারাবিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
শুনানিতে তার আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, এ আসামি ২০১২ সালে জামিনে যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কোনোদিন আদালতে অনুপস্থিত থাকেননি। অসুস্থতার কারণে আদালতে না আসতে পারলে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিতেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। আর বয়সও হয়েছে ৭৫ বছর। আপিলের শর্তে তার জামিনের প্রার্থনা করছি। আর জামিন না দিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক।
রায় শুনে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তার আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, ১৯ মার্চ জামাল উদ্দিন সরকার জামিনে থেকে আদালতে হাজিরা দেন। ওইদিন প্রথমে জেরা হয়। জেরার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিরতিতে যায় আদালত। পরে রায়ের সময় আদালত থেকে চলে যান জামাল উদ্দিন সরকার। আমার সঙ্গে কথা বলে যাননি তিনি।
এর আগে গত ১৯ মার্চ হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির ১১ মামলার মধ্যে এক মামলার রায়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ সাত কর্মকর্তাকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলায় সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে এক ধারায় পাঁচ বছর ও আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জামিনে থাকা একমাত্র আসামি জামাল উদ্দিন রায় শুনতে আদালতে হাজির হন। ওকালতনামায় স্বাক্ষরও করেন। রায় ঘোষণা শোনেন। আদালত তাকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সাজা দেন। সাজার রায় শোনার পরে এক ফাঁকে আদালত থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরে আদালত জামাল উদ্দিনের জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়