বাংলাদেশ বরিশাল মিডিয়া

মাদক চক্রের নেপথ্য খেলার মামলায় সাংবাদিক আলম রায়হানের জামিন লাভ

Alam Raihan
print news

বরিশাল অফিসবরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ভূমিদস্যু ও মাদক চক্রের গড ফাদার”র নেপথ্য খেলার সাজানো মামলায় সাংবাদিক আলম রায়হান ১৫ মে জামিন লাভ করেছেন। ভূমিদস্যু ও মাদক চক্রের গড ফাদার জনাব খানের নেপথ্য খেলার সাজানো মামলায় বরিশাল মেট্রোপলিটান পুলিশের ওসি মো: আলমগীর হোসেন ২৫ মার্চ আদালতে মনগড়া ও মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ মামলায় ১৩ এপ্রিল বরিশাল মেট্রোপলিটান মেজিষ্ট্রেট আদালত সাংবাদিক আলম রায়হানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় আলম রায়হান ১৫ মে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা মঞ্জুর করে তাঁকে জামিন প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, মিথ্যা মামলা দায়ের করার ক্ষেত্রে আলম রায়হানের বয়োবৃদ্ধ  খালা মমতাজ বেগমকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করেছে ভূমিদস্যু ও মাদক চক্রের গড ফাদার জনাব খান। মমতাজ বেগমের বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে ১৩ মার্চ দায়েরকৃত মামলা নং ২৬/২০২৪। এ মামলায় বরিশাল মেট্রোপলিটান পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ওসি মো: আলমগীর হোসেন দুই লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ২৫ মার্চ আদালতে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন দাখিল করেন, ধারা ১৪৩/১৪৭/৪৪৭/৩৭৯/৫০৬(২)। এ মামলায় মো: আলমগীর হোসেন তদন্তকারী কর্মকতা এবং তিনই অগ্রগামীকারী।
সাংবাদিক আলম রায়হানের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু ও মাদক চক্রের নেপথ্য খেলায় সাজানো মামলায় বিএমপি‘র গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো: আলমগীর হোসেন মনগড়াভাবে লিখেছেন, “বিবাদী আলম রায়হান(৫৫) একজন অত্যান্ত রাগি মন মানসিকতার লোক। তার নেতৃত্বে উক্ত বিবাদী ৩জনসহ আরো অজ্ঞাতনামা লোকজন লইয়া ও ট্রাক লইয়া গত ২১/০১/২০২৪ খ্রিঃ সকাল ১১.০০ ঘটিকা হইতে দুপুর ০১.০০ ঘটিকায় বাদিনী তাহার বহু বছরের দখলিয় সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মানের জন্য ৫০০ কেজি রড, মূল্য-৫০,০০০/, ৫০ বস্তা সিমেন্ট, মূল্য- ৫০,০০০/- টাকা, ৪,০০০ পিস ইট, মূল্য- ৪৮,০০০/-টাকা, বালু ২০০ ফিট, মূল্য ৮,০০০/ টাকা, খোয়া ৫০০ ফিট, মূল্য ৬০,০০০/ টাকা এবং সেন্টারিং মালামাল মূল্য ৫০, ০০০/- টাকা, যাহার সর্বমোট মূল্য অনুমান ২,৬৬,০০০/- টাকার মালামাল জোর করিয়া বাঁধা দেওয়া সত্ত্বেও চুরি করিয়া লইয়া যায়।”
এদিকে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের ইন্সপেক্টর মো: আলমগীর হোসেন দাখিলকৃত প্রতিবেদনে বর্নিত কোন ঘটনাই ২১/০১/২০২৪ তারিখ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে অথবা অন্যকোন সময়ে ঘটেনি। প্রসঙ্গত, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা অর্থৎ দিনে দুপুরে দুই ঘন্টা ব্যাপি সময়ে এতো পরিমান মালামাল ট্রাকে করে নিয়েগেলে তার ছবি অথবা ভিডিও কারো না কারো কাছে থাকতো। উল্লেখ্য, বিলামের পুল ঘনবসতীপূর্ণ এলাকা। এবং বিলামের পুল বাজার খুবই জমজমাট।
অনুসন্ধানে প্রকৃত ঘটনা জানাগেছে, আলম রায়হানের বিরুদ্ধে ডামি বাদী হিসেবে দাড়করানো মমতাজ বেগম তুলনামূলকভাবে অস্বচ্ছল। উল্লেখ্য, তিনি নিজে বিধবা এবং তার একমাত্র পুত্রের বিধবা স্ত্রী ও তিন নাতিসহ চারজনের ভরণÑপোষণ তাঁর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই চারজনের কেউ কোন কাজ করেন না। ফলে স্বজনদের সাহায্য-সহযোগিতার পাশাপাশি মমতাজ বেগম জীবন ধারনের ব্যয় নির্বাহে পৈত্রিক জমি বিক্রির উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। এদিকে মমতাজ বেগমের বিধবা পুত্রবধু ইসরাত জাহান শানুর(৪৮) লক্ষ হচ্ছে, শাশুড়ি মমতাজ বেগমের জমি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়া। এ ক্ষেত্রে অসময়ে বিধবা হওয়া ইসরাত জাহান শানু বরিশাল নগরীর হোটেলে যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আর এক্ষত্রে তার সহযোগী হচ্ছে ইমরান খান, পিতা সোহরাব হোসেন খান। জমির দলিল লেখক হিসেবে পরিচয়ের আড়ালে জনাব খান আসলে ভূমি দস্যু, প্রতারক ও মাদক চক্রের গড ফাদার। নানান ধরনের অপরাধের পাশাপাশি সে চেক জালিয়াতি  মামলার জেল খাটা আসামি।
ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে, ভূমিদস্যু ও মাদক চক্রের গড ফাদার হিসেবে পরিচিত জনাব খান খান সাংবাদিক আলম রায়হানের এক মাত্র ছেলের ক্রয়কৃত জমিতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারিখ: ১৬/১১/২০২৩। যা বিচারাধীন রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে দায়েরকৃত অভিযোগ বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ২৯/১২/২০২৩ তারিখ দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সন্ত্রাসী ও এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারীদের সঙ্গে ইমরান খান জোটবদ্ধ হয়ে আলম রায়হানের ছেলের ক্রয়কৃত জমিতে বিরাজমান কৃষি কাঠামো এবং রাস্তা সংলগ্ন দোকান ঘরসহ সকল কাঠামো ভাংচুর করে নিয়ে যায়। এবিষয়ে অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে দীর্ঘ ও বিস্তারিত তদন্ত শেষে ১৪/০১/২০২৪ তারিখে এয়ারপোর্ট থানা মামলা গ্রহণ করে। উল্লেখিত মামলায় ইমরান খান ও মোঃ আবু সালেহকে দোষী সাব্যস্ত করে এয়ার পোর্ট থানা পুলিশ অভিযোগ পত্র দাখিল করে। (অভিযোগ পত্র নং:- সিএস ৩৫ তাং- ১২/২/২৪)। এ মামলা আদালতে বিচারাধীন।
সাংবাদিক আলম রায়হানের উল্লেখিত মামলায় ভূমিদস্যু ও মাদক চক্রের গড ফাদার জনাব খানের সহযোগী হিসেবে আসামি সালেহ হাওলাদার এলাকার বড় মাদক কারবারী। উল্লেখ্য, ৯৮ পিস ইয়াবাসহ মোঃ আবু সালেহ ধরা পড়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা আছে। এ ঘটনায়মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এয়ারপোর্ট থানায় এফআইআর নং- ১৪/৫১, তারিখ ১৫/২/২০২২। সালেহ হাওলাদারের মাদক ব্যবসার কথা সবাই জানলেও তার ব্যাপারে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ‘পুরা অন্ধ’ বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, আলম রায়হানের বয়োবৃদ্ধ  খালা মমতাজ বেগমকে ভূমিদস্যু ও মাদক চক্রের গড ফাদার জনাব খান প্রভাবিত করে একাধিক দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা দায়ের করিয়েছেন। এমনকি তিনি তার ছোট বোন রওশন আরা বেগমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে জমিজমা নিয়ে দেওয়ানী মামলায় জড়িয়েছেন মমতাজ বেগম। এ ক্ষেত্রে তাকে বুঝানো হয়েছে, তার বাবার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় পিতার সকল জমির একমাত্র উত্তরাধিকার তিনি এবং বাকি পাঁচজন তার বাবার মেয়ে নয়। বরং এই পাঁচ মেয়েকে অনাথ হিসেবে পালন করার জন্য আনা হয়েছিলো।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, সাংবাদিক আলম রায়হানের বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদন প্রদান কারী ডিবির ওসি মো: আলমগীর হোসেন দুর্নীতিবাজ ইন্সপেক্টর হিসেবে পরিচিত। বিগত চাকরী জীবনে তার অনেক অপকর্মের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মো: আলমগীর হোসেনের অপকর্মের ফিরিস্তি সম্প্রতি বিএমপি কমিশনার জিহাদুল কবিরের নজরে আসার পর মো: আলমগীর হোসেনকে বরিশাল থেকে বিদায় করা হয়েছে। তাকে দেয়া হয়েছে এপিবিএন-এ।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *