ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি এখনো নিখোঁজ


হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের নেমেছে ৪০টি অনুসন্ধানী দল। তাদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন রয়েছে।
এ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সম্ভাব্য হার্ড ল্যান্ডিংয়ের খবর জানতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে জোলফা এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রাহমাতিসহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। খবর আল জাজিরা।
এর আগে রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে যোগাযোগ স্থাপন নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভিন্নধর্মী তথ্য প্রচার হয়েছে।
রাইসির মৃত্যু হলে ইরানের দায়িত্ব নেবে কে?
ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে দেশটির প্রেসিডেন্টকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে প্রদেশটির ওজি গ্রামে।
তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে এখনো উদ্ধার অভিযান চালানো যায়নি।
এর মধ্যে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নাম গোপন রাখার শর্তে ইরানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা শঙ্কা করছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন।
যদি এই দুর্ঘটনায় রাইসি নিহত হন তাহলে দেশটির দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার। ইরানের সংবিধানে বলা আছে, প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার অনুমোদন সাপেক্ষে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
ইরানের সংবিধানে আরও বলা আছে, সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। আর প্রেসিডেন্ট হলেন সরকার প্রধান এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড।
যদি সেকেন্ড ইন কমান্ড অর্থাৎ প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হয় তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা গ্রহণ করবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে তিনি নতুন নির্বাচন আয়োজন করবেন। যেটির মাধ্যমে দেশে আবার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হবে।
রাইসির মৃত্যুর শঙ্কা প্রকাশ করে নাম গোপন রাখার শর্তে ওই ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, “হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা এখনো আশাবাদী। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে তথ্য আসছে সেগুলো খুবই চিন্তার।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়