বিসিসি নিয়ে অপপ্রচারের কারনে মাসুদ সিকদার আটক


বরিশাল অফিস :
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার করার অভিযোগে মাসুদ সিকদার নামের এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহপন্থী এই যুবলীগ নেতাকে বুধবার (২৯ মে) রাতে শহরের রুপাতলী হাউজিং এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল বাদী হয়ে থানায় সাইবার আইনে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় মাসুদ সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মাসুদ সিকদার তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এবং এর মেয়র আবুল খায়ের ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছেন। সেই সব ঘটনা উল্লেখ করে মামলা করেন রোমেল।
পুলিশ জানিয়েছে, বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মামলা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাসুদ সিকদারের বাড়ি বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নে হলেও তিনি সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী কলসকাঠি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করে পরাজিত হন। তার সাথে বাকেরগঞ্জ পৌরসভা মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার বিরোধ চলছে, এই জনপ্রতিনিধিও মাসুদ সিকদারের বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে মামলা করেছে, যা তদন্তধীন আছে।
এরই মধ্যে সাদিকপন্থী যুবলীগ নেতাকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তার মামলায় গ্রেপ্তার করল বরিশাল কোতয়ালি পুলিশ। অবশ্য গ্রেপ্তার খবর প্রকাশের সাত ঘণ্টা আগে মাসুদ সিকদার তার ব্যবহৃত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, ‘আমাকে না হয়, মামলা দিয়ে আটকাবেন, তবে জনগণের মুখ কি দিয়ে আটকাবেন’।
এর দুদিন আগে মাসুদ সিকদার লিখেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে গেলো, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন অভিভাবক শূন্য’ যার সাথে কান্নার ইমোজি ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় যুবলীগের একটি সূত্র জানায়, মাসুদ সিকদার নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দেন এবং ব্যানার ফেস্টুনে একই পদবি উল্লেখ করলেও আদৌ এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনে তার কোনো সাংগঠনিক পদ নেই।