সুন্দরবনে মিঠাপানির চরম সংকট


ইত্তেহাদ নিউজ,খুলনা: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় সুন্দরবন। এ বনের মধ্যে থাকা ৮০টি পুকুর তলিয়ে মিষ্টি পানির আধার সব নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে গত সাত দিন সুন্দরবনের দুর্গম এলাকার ৪০০ বনকর্মী সুপেয় ও মিষ্টি পানির মারাত্মক সংকটে পড়েছেন। সংকটে আছে বন্য প্রাণীরাও। বন বিভাগের অফিসের আশপাশে হরিণকে পাতলা পায়খানা করতে দেখা গেছে। গত সাত দিনে সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হয় ১৩৪টি হরিণ। যা জলাবদ্ধতায় ডুবে এবং লবণাক্ত পানি খেয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুন্দরবনের ৪৯টি অফিসের আওতায় ৮৮০ জন বনকর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ৪০০ জন দুর্গম এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সাত দিন ধরে গোসল করার মতো পানিও পাচ্ছেন না। খাবার পানিও নেই।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. নুরুল কবির রবিবার জানান, তার জোনের কটকা, কচি খলী, দুবল, শ্যালা, আলোর কোল, শরণখোলা, করমজল, চাঁদপাইসহ অভয়ারণ্যের ৩৭টি বন অফিসের আওতায় ৩৮০ জন বনকর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ৩০০ জনই মিষ্টি পানির মারাত্মক সংকটে রয়েছেন। খাবার পানি পাচ্ছেন না, আবার গোসল করার মতো মিষ্টি পানিও পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু বন্ধ অফিসের আশপাশে হরিণকে পাতলা পায়খানা করতে দেখা গেছে। লবণাক্ত পানি খাওয়ার ফলে এমনটি ঘটছে। অনেক হরিণ লবণাক্ত পানি খেয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মহসিন হোসেন বলেন, ‘পশ্চিম সুন্দরবনে ৫০০ বনকর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে দুর্গম এলাকা মান্দারবাড়িয়া, হলদি বুনিয়া, পুষ্পকাঠি, নটাবেকি, কচিকঠা, হুমকি, ওমর খালি, পাঠকোস্টাসহ অভয়ারণ্যের ১২টি অফিসে ১০০ বনকর্মী মিঠাপানির সংকটে আছেন। তারা গোসল করার মতো পানি পাচ্ছেন না।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়