পটুয়াখালীর কারাগার গরিবের মরনফাঁদ:ডেপুটি জেলার ইব্রাহীমের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি


ইত্তেহাদ নিউজ,বরিশাল : পটুয়াখালী জেলা কারাগারের অফিসের জানালা যেন এক গরীবের মরন ফাদ। আদালত খোলা তারিখে বিকেল বেলা পটুয়াখালী জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার ইব্রাহীম, বকসি কারারক্ষী জাহিদ, কালেকশন ম্যান কারারক্ষী সোহেলের জানালায় যেন টাকার হাট বসে।
ডেপুটি জেলার ইব্রাহীম ও বকসি জাহিদ আর সোহেল মিলে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। জামিনের কাগজ আসতে দেরির কথা বলে আজকে আসামি বের হবে না। জমিনে ভুল আছে। পুনরায় জামিন করাতে হবে। হাইকোর্টে যেতে হবে বলে গরীব অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া আসামিকে জামিননামা আসার আগে বের করে রাখে।অনেক মাদক সেবী আসামীকে জানালা দিয়ে মাদক পাচার করে কারারক্ষী সোহেল। রাত নেই দিন নেই হুট করে কারাঅভ্যন্তরে মাদক দিয়ে আসেন ।টাকা হলে তার কাছে সব সম্ভব। টাকার বিনিময়ে কারারক্ষী সোহেল কুখ্যাত ডাকাত রিপনের স্ত্রীকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করে। ডাকাত রিপনের স্ত্রীর সাথে কথা বলে। বকসি জাহিদ অসহায় বন্দীদের স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায় লিপ্তের অভিযোগ পাওয়া গেছে।সে একজন চরিত্রহীন বলে জানান একাধিক কারারক্ষী। একাধিক বিয়ে । নুতন নুতন বিয়ে করাটা তার কাছে সখ।কটি বিয়ে তা কেহ জানেনা।
পটুয়াখালী জেলা কারাগারের জেলার মোঃ মোস্তফা কামাল যাবত অসুস্থ । তিনি স্ট্রোক করে ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এ সুযোগে ডেপুটি জেলার ইব্রাহীম, বকসি সোহেল, জাহিদ মিলে কারাগারকে একটা দূর্নীতির আখড়া বানিয়েছে ।
গত ২৯ মে তারিখ তুহিন বড়ুয়া পিতা- কালাম ,টাউন জৈনকাঠী, থানা ও জেলা পটুয়াখালী তার হাইকোর্টের জামিন ভুল বলে দশ হাজার টাকা দাবি করে তারা হাতে পায়ে ধরে তিন হাজার টাকা কমিয়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। যদি হাইকোর্ট ভুল করে তাহলে তারা সে ভুল সারলো কিভাবে এসব প্রশ্ন সাধারন মানুষের।
মোশারেফ পিতা- ছত্তার ,গাবুয়া, থানা ও জেলা – পটুয়াখালী তারও একই সমস্যা ।গত ২৯ মে এসব ঘটনা ঘটে। একই দিনে জেল সুপারকে না জানিয়ে একটা জামিন নামায় জেল সুপার যায়গায় ডেপুটি জেলার ইব্রাহিম স্বাক্ষর করে ১৭ হাজার টাকার বিনিময়ে বকসি সোহেলকে দিয়ে বরগুনা কারাগারে লাল মিয়া নামের একটি জামিন পাঠানো হয়।কারা হাসপাতালে সুস্থ্য বন্দিদের ভর্তি রেখে মশারী দিবে, খাট দিবে বলে মোটা অংকের ঘুষ নেয়া হয়।
বিএনপির এক সময়ের ক্যাডার ডেপুটি জেলার ইব্রাহিম সম্প্রতি শিপলু খান নামে এক হাজতিকে মাদকসহ সকল অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ভিতরে আরাম আয়েশে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জামিনে মুক্তি পেয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে এক বন্দি বলেন, ‘কারা হাসপাতাল কোনও অসুস্থ বন্দির জায়গা নয়। বিত্তবান সুস্থ্য বন্দিরা টাকার বিনিময়ে অসুস্থ হয়ে আরাম আয়েশে থাকেন সেখানে। এসবের নেপথ্যে রয়েছেন ডেপুটি জেলার ইব্রাহিম।
ডেপুটি জেলার ইব্রাহীম বরিশালে থাকাকালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে বলে সুত্র জানায়।মাদকের হাট বসিয়েছিল কারা অভ্যান্তরে। এছাড়া মাদক বিক্রেতাদের সাথে সখ্যতা থাকার কারনে তাদের জামিনের দ্বায়িত্ব নিত এই ইব্রাহীম। ফলে জামিন করানোর জন্য মোটা অংক ব্যয় করতো ইব্রাহীমের পিছনে মাদক ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ইব্রাহীম ডেপুটি জেলার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে হাসপাতালে সিট বানিজ্য,ক্যান্টিন বানিজ্য,মোবাইলে কল বানিজ্য,রেশন বানিজ্য,চালিতে ডিউটি বন্টন বানিজ্যসহ অনিয়ম দুর্নীতি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইব্রাহিম আবারো বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আসার জন্য লবিং করছে বলে সুত্র জানায়।ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে কারাঅভ্যান্তরের তথ্য বাহিরে পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এছাড়া পটুয়াখালীর জেলার ও জেল সুপারের বিরুদ্ধে সযবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের কাছে অসত্য তথ্য এবং কারাঅভ্যান্তরের ছবি সাযবাদিকদের কাছে সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে। ইব্রাহিম একাধিকবার পত্র পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর “বরিশাল কারা হাসপাতালে লক্ষ লক্ষ টাকার বেড বানিজ্য : নেপথ্যে ডেপুটি জেলার ইব্রাহিম” শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিকে সযবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। ইব্রাহীমের দুর্নীতির শেষ কোথায় প্রশ্ন কারাগারের সকলের।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়