অনুসন্ধানী সংবাদ

ঝালকাঠি খাদ্য গুদামে বোরো ধান সংগ্রহে দুর্নীতি

খাদ্য গুদাম
print news

ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা : কৃষকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বোরো ধান সংগ্রহ কর্মসূচির কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ লোপাটে সিন্ডিকেট করার অভিযোগ উঠেছে। ঝালকাঠি খাদ্য গুদামের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর সহযোগীতায় মাঠ পর্যায়ে একাধিক দালাল চক্রের সমন্বয়ে এ সিন্ডিকেট গড়ে উঠে। এমনটাই অভিযোগ কৃষকদের। সম্প্রতি বোরো সংগ্রহ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত ২৪ মে গোপনে গুদামে দেড়শ মণ পচা ধান উঠিয়ে ধরা পড়ে। ঐ ধান গুদামের ভিতরে উঠানোর আগেই সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ধরে ফেলেন। এ সূত্র ধরেই সিন্ডিকেট বানিজ্যের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। এ ঘটনায় খাদ্য গুদামের ২ পরিদর্শককে ৩ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে শোকজ করেন ইউএনও অনুজা মন্ডল। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, চক্রের বাইরে কোন কৃষক ধান দিতে চাইলে দাবি করা পার্সেনটেজ না দিলে হয়রানী হতে হচ্ছে। তাই সরকারের নির্ধারিত মূল্যে বোরো ধান বিক্রি করতে পারছেনা কৃষকরা। লাভবান হচ্ছে সিন্ডিকেট। দ্বিতীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন খাদ্য গুদাম সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান। তিনি সিন্ডকেটের কথা স্বীকার করলেও তার সময়ে কোন সিন্ডিকেট নেই বলে জানান। গুদামের ভিতরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা এবং যার নিয়ন্ত্রনে সব কিছু তিনি হলেন নিরাপত্তা প্রহরী জিয়াউর রহমান জিয়া। জেলা কর্মকর্তার আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় জিয়ার সিদ্ধান্তের বাইরে গোডাউনে কেই কোন কথা বলতে সাহস পায়না বলে জানাযায়।
গত ২৪ মে সকাল ৯টায় গোপনে প্রায় দেড়শ মণ পঁচা ধান গুদাম গেটের ভিতরে নিয়ে আসে জিয়া। সিসি ক্যামেরা না থাকায় ধানের বস্তাগুলো ৬ ও ৭ নম্বর গুদাম ঘরের সামনে রাখা হয়। যা গত ২৬ তারিখ ঘূর্নিঝড় রিমালে ভেজার অজুহাতে ভিতরে উঠিয়ে রাখা হতো। গুদামে উঠানোর পর ধরা পরলে বলা হতো বর্ষার পানিতে ভিজে নষ্ট না হবার জন্য উঠানো হয়েছে। কিন্তু গত ২৪ মে ধান গুদামে উঠানোর আগেই টের পেয়ে যায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুজা মন্ডল। তিনি খবর পেয়ে ছুটে আসেন খাদ্য গুদামে। এসে প্রধান গেট তালাবদ্ধ থাকলেও ভিতরে ঘটনার সত্যতা দেখতে পান। এই ধান কে কোথা থেকে এনে রেখেছে জানতে চান। ঐ দিন শুক্রবার থাকায় গুদামের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী না থাকলেও নিরাপত্তাকর্মী জিয়াউর রহমান ছিলেন। তাই তিনি ইউএনওকে জানায়, শুনছি কৃষক ধান রেখে গেছে। তখন কৃষকের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে জানাতে পারেনি। গুদামের ঝাড়–দার ফাতেমা খাতুন জানায়, সে সকালে গেট খুলে দিয়ে চলে যান। তারপর কে এ ধান এনেছে তা তিনি জানেননা। এরপর ইউএনও জেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলার অল্প সময়ের মধ্যেই ২ জন কার্ডধারী কৃষক নিয়ে হাজির সিন্ডিকেটের দুই দালাল মো. মাসুদ ও মো. প্রিন্স। সেখানে সন্দেহজনক অবস্থান নেয়ায় মাসুদের পরিচয় এবং এখানে আসার কারণ জানতে চান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। অবস্থা বেগতিক দেখে সটকে পড়ে অপর দালাল প্রিন্স। এক পর্যায়ে মাসুদকে আটক করতে বলায় সে স্বীকার করে ধানের মালিক ২ কৃষকের সাথে এসেছে। দালাল মাসুদ আটকের হাত থেকে রক্ষা পেতে জানায় সকালে এই ধান তিনিই নিয়ে এসেছেন ট্রলিতে। তাই ট্রলিতেই আবার ধান ফেরত নিতে নির্দেশ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার মধ্যে ধান ভর্তি বস্তা গুদাম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় গুদামের এক পরিদর্শক ও আরেক সহকারি পরিদর্শককে শোকজ করা হয়েছে। কৃষকদের দাবি নবগ্রামের কিরন, বাসন্ডা ইউনিয়নের লেশপ্রতাপ গ্রামের মাসুদ, জাহাঙ্গির ও স্বরুপকাঠির ছাগলকান্দা গ্রামের প্রিন্স দালালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছর ঝালকাঠির নিবন্ধিত ১৮৯ জন কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বোরো ধান সংগ্রহ করা হয়। এ বছরে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের টার্গেট দেয়া হয়েছে ৫৬৮ মেট্টিক টন। এ জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে এ টার্গেট ছিল ৫৪৯ মেট্টিক টন। বরাদ্দের পরিমান ছিল ১ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। গুদাম সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় ১০০ টন ধানে ৬৫ টন চাল নেয়া হয় মিল মালিকের কাছ থেকে। ধান গ্রহণের সময় ১৪% শুকনা এবং মিল থেকে একই পর্সেনটেজে চাল আনা হয়। এবার সরকার নির্ধারিত প্রতি মণ বোরো ধানের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ১২শ ৮০ টাকা। অভিযোগ রয়েছে ২০২৩ সালের ধান সংগ্রহের গুদামে সংরক্ষিত বইতে কৃষকের জাল স্বাক্ষর দেয়া রয়েছে। রিপোর্ট চলমান।

২৪ মে ঘটনার সূত্র ধরে সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাবেক সম্পাদক ও বিবিশন গ্রামের কৃষক অবিনাশ গাইন (৫৮) বলেন, গত বছর আমি ১২ টন ধান নিয়ে অফিসারকে পার্সেন্টিজ না দেয়ায় দিতে পারিনি। গোডাউনের দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারকে এ টাকা না দিলে চেক দেয়না। আমার ধান ১৩% শুকনা ছিল। কিন্তু তারপরেও গ্রাম থেকে কষ্ট করে ধান নিয়ে দিতে না পারায় এবার ধান দেব না। কর্মকর্তাদের কার্ডধারী নির্দিষ্ট দালাল আছে। তাদের কম মূল্যের টনকে টন পচা ধান কোন পরীক্ষা ছাড়া আগেই গোপনে গুদামে উঠিয়ে রাখা হয়। সেই ধান টন প্রতি ২ হাজার টাকার বিনিময়ে নিয়ে তারা লাভবান হচ্ছে। অন্যদিকে কম দামের পঁচা ধান সরকার নির্ধারিত বেশি মূল্যে কিনে দালাল ও গুদামের ২ জন কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ লোপাট করছে।

বাসন্ডা ইউনিয়নের বেতলচ গ্রামের অপর কৃষক মো. হুমায়ুন জানান, এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গা খুব কঠিন। কারণ যে সব কৃষকের কৃষিকার্ড আছে তাদের নাম অনলাইনে আগেই তালিকা করে রাখা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথিত লটারিতে তালিকার কৃষকদের নাম ঘোষনা করা হয়। এরপর প্রতি বোরো সংগ্রহ কর্মসূচির আগে গুদাম কর্মকর্তাদের নির্ধারিত দালালরা সক্রিয় হয়। তারা লটারীভুক্ত কৃষকদের কাছে গিয়ে তাদের কৃষিকার্ড চেয়ে নেয়। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে কার্ড সংগ্রহ করে টনকে টন ধান সংগ্রহ করে আগেই গুদামে ঢুকিয়ে রাখা শুরু করে। তাই প্রকৃত কৃষকরা যখন সংগ্রহের সময় ধান নিয়ে আসে তখন নানা অজুহাতে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। দালালরা

নিম্নমানেরএসব ধান ৮০০ টাকা দরে কিনে সরকারের কাছে ১২৮০ টাকায় বিক্রি করছে। এভাবে টন প্রতি কমিশন এবং কম দামের ধান বেশি দামে দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে সরকারি বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা। এতে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের ধান বিক্রির ন্যায্য পাওনা থেকে। অন্যদিকে কাগজে কলমে কৃষকদের কার্ডেই সিন্ডিকেট চক্র বাণিজ্য করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

সূত্রমতে এ বরাদ্দ লুটপাটের জন্য সিন্ডিকেট করে গুদামের ভিতরে সার্বিক বিষয় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নিরাপত্তা প্রহরী জিয়াকে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করেন উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। তাই জিয়া কাউকে পাত্তা দেননা। আর মাঠ পর্যায়ে কাজ করে মোট ৮ জন দালাল। এদের মধ্যে দালাল প্রিন্স ও মাসুদ ঐ কর্মকর্তার নেক নজরে থাকায় অপর দালালদের এ দুজন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা জানায়।
খুলনা খাদ্য গুদামে কর্মরত থাকা অবস্থায় দুদকের দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ঝালকাঠির নিরাপত্তা প্রহরী জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, তিনি নিরাপত্তা প্রহরী হলেও সার্বিক কাজকর্ম দেখাশুনা তাকেই করতে হয়। জাহাজের মাল খালাস থেকে শুরু করে গোডাউনে রাখা মালামালের হিসাব এমনকি গোডাউনের চাবিও তার কাছে তাকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব আমার দায়িত্বে না পরলেও সবাইকে সহযোগীতা করি। এতে দোষের কিছু নেই। গত ২৪ মে গুদামে গোপনে ধান আনার বিষয়ে তিনি কিছু না বলে এড়িয়ে যান। গুদামের ভিতরে অফিসার ও কর্মচারীদের নির্ধারিত ৮টি বাসভবন থাকলেও সবাই থাকেনা।

চলতি বছর তালিকাভুক্ত ১৮৯ জন কৃষককে লটারীতে অন্তর্র্ভূক্ত করা হয়েছে। এদের অধিকাংশের কার্ড দালালদের নিয়ন্ত্রণে। ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে নথুল্লাবাদ, বাসন্ডা, বিনয়কাঠি, গাভারামচন্দ্রপুর ও নবগ্রাম ইউনিয়নে বেশি বোরো আবাদ হয়। এছাড়া কমবেশি বোরো আবাদ হয় বাকি ৫টি ইউনিয়নে। একটি ইউনিয়নে বোরো হয়না। আশ্চর্যের বিষয় হলো ১০ টির মধ্যে শেখেরহাট সবচেয়ে কম বোরো হলেও ইউনিয়নটির ২২ জন কৃষক এই তালিকাভুক্ত। এর কারণ হিসাবে জানাযায় ২২টি কার্ডই দালালদের নিয়ন্ত্রণে।
সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা বিএম শফিকুল ইসলাম জানান, এ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকদের আবেদন লটারি প্রক্রিয়ায় নির্ধারন করতে ৬ সদস্যের কমিটি রয়েছে। এ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। কিন্তু কমিটির শুধুমাত্র মনিটর রয়েছে সভাপতি ও সদস্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার। তাই কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের আবেদন যাচাই করে অনুমোদন দিয়ে ইউএনও’র আইডিতে পাঠাবে। ইউএনও লটারী না করা পর্যন্ত ১ ছটাক ধান ক্রয় করা যাবেনা। কিন্তু চলতি বছর নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণ দেখিয়ে কৃষি কর্মকর্তার মৌখিক অনুমোদন নিয়ে তালিকা চূড়ান্ত করা হয় বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা আলী আহমদ। একই প্রক্রিয়ায় ইউএনওকে কৌশলে লটারী করা থেকে বিরত রাখতে এবং ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে তার আইডি থেকেই খাদ্য কর্মকর্তা লটারী করে তালিকা ঘোষনা করেন। পরে বিষয়টি জানতে ও বুঝতে পেরে অসন্তোষ প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুজা মন্ডল বলেন, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঝালকাঠি খাদ্য গুদাম সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এবার লটারীর সময় সার্ভার ডাউন থাকায় ইউএনও’র যুক্ত থাকা সম্ভব হয়নি বলে শুনেছি। তিনি বলেন, এই কার্যক্রমে আগে সিন্ডিকেট ছিল, এখন নেই। দালালদের বলে দিয়েছি ভিতরে প্রবেশ করলে খবর আছে। পার্সেনটেজ না দিলে কৃষকের ধান নেয়া হয়না এ অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হোসেন সরকার নির্ধারিত দামে ধান সংগ্রহে সিন্ডিকেট, কাউকে না জানিয়ে গোডাউনে দালালদের ধান এনে রাখা এবং কর্মসূচি উদ্বোধনের বিষয়ে বলেন, আন্দাজে যদি সবাই ঢিলা মারে তাতে হয়কি। চাতালে ধান যে কেউ ঢুকাতে পারে সমস্যা কি। চাতালের ধান গোডাউনের সামনে না রাখলে বৃষ্টি নামলে ভিজে যেতে পারে, তাই গোডাউনের সামনে রাখা হয়। চাতাল ব্যবহারের অযোগ্য প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলেননি। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, যারা এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ধাওয়াচ্ছে তাদের সমস্যা কি। তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা রডের বদলে বাঁশ দিয়ে লোপাট করছে সেসব না দেখে এসব নিয়ে খোঁজ খবর নেয় কেন। নিরাপত্তা প্রহরী জিয়ার প্রভাব বিস্তার সম্পর্কে বলেন, গোডাউনের কাজ কর্ম জিয়া করে বলেই তার কথা সবাই বলে। জিয়া খুলনা দুদকের মামলার আসামী ছিল। শুক্রবার কেউ না থাকায় জিয়া উপস্থিত ছিল বলেই ধান উঠানো প্রসঙ্গে তার নাম বলা হচ্ছে। আর ইউএনও’র বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করার কোন বিষয় নেই। তার উদ্বোধন করতে হবে এমন কোন কথা নেই। উদ্বোধন করলে করা যায়, না করলে কিছুনা। তিনি বলেন, ঝালকাঠিতে ৪ বছর হওয়ায় আমাকে কাঠালিয়া বদলী করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুজা মন্ডল বলেন, কারো অনুমতি না নিয়ে এবং কেউ কর্মস্থলে না থাকায় গত ২৪ মে ধান গোডাউনে এনে রাখার বিষয়ে ২ জনকে শোকজ করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। এরপর এ বিষয়ে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর এবার একাধিকবার নেওয়ার্ক সমস্যার এবং পরে আমার ব্যস্ততার কারণে আমি নিজে লটারী প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারিনি। এ অবস্থায় বর্ষা চলে আসায় ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করতে বলেছি তাদের। কিন্তু এখানে বেশ কিছু ত্রুটি ও অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। এসব বিষয়ে শোকজের জবাব পেলে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *