কুড়িগ্রামে বৃষ্টি, শহর এলাকায় জলাবদ্ধতা


ইত্তেহাদ নিউজ,কুড়িগ্রাম: থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে কুড়িগ্রামে। যার কারণে জেলা শহরের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও শহরের দুটি খাল দখল হওয়াসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে।
রোববার (১৬ জুন) দুপুরে পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ডে সরেজমিনে দেখা যায় ড্রেনগুলোতে দীর্ঘদিনের প্লাস্টিক বর্জ, ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় বৃষ্টির এসব পানি সহজে নামতে পারছে না। এর মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস, সদর হাসপাতাল পাড়া, হাটিরপাড়া, শিক্ষা অফিস, রৌমারী পাড়া, গণপূর্ত অফিস, তালতলা, হরিকেশ কানিপাড়া, স্বাধীন পাড়া, পৌরবাজার এলাকা, মধুর মোড়, দাদামোড়সহ পৌর শহরের অনেক স্থানে রাস্তাঘাট ও বাসা-বাড়িগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার হাটির পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই অসুবিধা হয়েছে। পৌরসভার উদাসীনতায় আমাদের মতো বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পৌরবাজার এলাকার রাজু আহমেদ বলেন, বাজারের পাশের ড্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে। পৌরসভার লোকজন এসব দেখে না। তিন দিন ধরে রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার কারণে চলতে লোকজনের কষ্ট হচ্ছে।
সিনিয়র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বেবু বলেন, পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে, পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন আরও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, শহরের ড্রেনগুলোতে বৃষ্টির পানি বেশি থাকায় পানি ধীরে ধীরে নামছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, স্থায়ীভাবে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্নয় করে কাজ করা হবে। আশা করছি দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়