ইত্তেহাদ এক্সক্লুসিভ

শত কোটি টাকার মালিক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান

matiur
print news
  • দুর্নীতি করে গড়েছেন স্ত্রী ও নিজের নামে সম্পদের পাহাড়!

ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা : রাজনৈতিক অবস্থার চাকা সচল রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভূমিকা অপরিসীম। যাদের প্রধান দায়িত্ব হলো কাস্টমস, আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত্ বিধি-বিধান তৈরি এবং তার আলোকে যথাযথ কর-রাজস্ব আদায় করা। এ ছাড়াও চোরাচালান প্রতিরোধ, শুল্ক-কর সংক্রান্ত আর্ন্তজাতিক চুক্তি সম্পাদন ও সরকারের রাজস্ব নীতি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করা। রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য কর্মকর্তাগণ তাদের একনিষ্ঠ প্রজ্ঞা ও মনন দিয়ে যেমন দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তেমনি অন্যদিকে একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ ও অসাধু কর্মকর্তাদের আকাশসম অনিয়ম দুর্নীতি ও চুরির কারণে রাষ্ট্র হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব।

আরও পড়ুন:

৫২ লাখ টাকার কোরবানি দিয়ে ভাইরাল এনবিআর কর্মকর্তার ছেলে

মতিউর রহমানের শত কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ!

 

এসব দুর্নীতিবাজদের একজন ড. মোঃ মতিউর রহমান, তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আগারগাও কার্যালয়ে সদস্য (কমিশনার অব কাস্টমস) পদে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদুকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেখানে শত শত কোটি টাকার সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে সবকিছুই অস্বীকার করেন ড. মতিউর রহমান।

n2

দুদকে জমা পরা অভিযোগ এবং একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র পাওয়া অনিয়মের তথ্য হতে খতিয়ে দেখতে সরজমিনে অনুসন্ধানে নামে সংবাদ মাধ্যম। অনুসন্ধানে আরো নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসার পাশাপাশি অধিকাংশ সম্পদের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রশ্ন হলো কি ধরনের অনিয়ম করে এই পরিমাণ সম্পদ অর্জন করা সম্ভব করেছেন ভ্যাট কমিশনার ড, মতিউর রহমান।

কাস্টমসের চাকরিতে যেন তার আলাদিনের চেরাগ। এই চেরাগ ঘষলেই বের হয়ে আসে টাকা। তার সম্পদের বাস্তবতা দেখে এমনটাই মনে হবে যে কারো। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর শুরু হয় তার অবৈধ ইনকাম। কয়েক বছরেই কয়েকটি ব্যাংকে কিনেছেন কোটি কোটি টাকার এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র। মোটা অঙ্কের টাকায় বসুন্ধরায় কিনলেন ফ্লাট ও জমি। মাসে ব্যবহার করেন লাখ টাকার পারফিউম। প্রতি মাসে পরিবর্তন করেন আইফোন। কাস্টমস কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার এমন অভিযোগ উঠেছে। মূলত ব্যবসায়ীদের হয়রানি আর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজম্যান’ হিসেবে কাজ করেই তিনি এই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আর সম্পদের মালিক হয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, কাস্টম হাউস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখানে চাকরি মানেই হাতে আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়ার মতো। ঘষা দিলেই দৈত্য নয়, যেন টাকা আর টাকা বের হয়। কাস্টমস এ চাকুরি হওয়ার আগেও যে ব্যক্তি পরিবার নিয়ে মোটামুটি ভাবে চলতেন। কাস্টম হাউসে চাকরি হওয়ার কয়েক বছরের মাথায় সে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

 

মতিউর রহমানের বড় গুণ হলো সুন্দর ভাবে কথা বলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মন জয় করে তাদের দিয়ে ফাকিবাজ ব্যাবসায়িদের খুজে বের করাতেন। অর্থাৎ রাজস্ব ফাঁকিবাজ ব্যবসায়ী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরাই তার শাগরেদ ছিলেন। টাকার বিনিময়ে রাজস্ব ফাঁকিতে সহায়তার জন্য চুক্তি করতেন তার শাগরেদরা। পরে চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের একটা অংশ দিতেন। বাকি অংশ তিনি রেখে দিতেন।
মতিউর রহমান তার অধিনস্তদের দিয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নিয়ে গড়ে তোলেন সিন্ডিকেট। কোন ফাইলে কীভাবে কত টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া যায়, কীভাবে কাদের ম্যানেজ করতে হয়-সব কিছুই তারা সুন্দর ভাবে জানেন। এতে দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন মতিউর। তার কর্মচারীরা ফাইল আটকে রাখতেন। আর শাগরেদরা তার হয়ে ঘুষ নিতেন। টাকা না পেলেই করতেন হয়রানি।

Motiur

অভিযোগের সূত্র ধরে দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৭, ফেব্রুয়ারি ২০১২ চট্টগ্রাম বন্দরে আসা আমদানি পণ্যের সাতটি চালানে বড় ধরনের শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছে বলে গুঞ্জন ওঠে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও তাদের নিয়োগ করা সিএন্ডএফ প্রতিনিধি। ওই সময়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ছিলেন ড. মতিউর রহমান ‘সেদিন সাতটি চালানে প্রায় দেড় কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে বলে তদন্ত শুরু করেন মতিউর রহমানের একটি দল। এবং তিনি বলেন এখন তাদের কাছ থেকে শুল্ক কর ও জরিমানাসহ প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আদায় করা হবে। নিয়ম অনুসারে সাড়ে চার কোটি টাকা আদায় করা হলেও সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে মাত্র দেড় কোটি টাকা। বাকি টাকা হাতিয়ে নেয় মতিউর রহমানের সিন্ডিকেট। এভাবে কয়েকটি অভিযান করে মতিউর রহমান কাস্টমসের হিরো বনে যান। কিন্তু তলে তলে তার বানানো সিন্ডিকেট এর কর্মকাণ্ড চলমান থাকে। এভাবেই মতিউর রহমান হয়ে যান শত কোটি টাকার মালিক।

বানিয়েছেন বিলাশ বহুল বাড়ি, কিনেছেন ফ্লাট, রয়েছে দামি দামি গাড়ি, পরিবারের নামে রয়েছে শত কোটি টাকার সম্পদ। ঢাকা জেলাধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আগারগাও কার্যালয়ে জনাব ড. মোঃ মতিউর রহমান, সদস্য (কমিশনার অব কাস্টমস) পদে কর্মরত আছেন। তার পিতার নাম মোঃ আঃ হাকিম হাওলাদার। তিনি রাজস্ব বোর্ডের যে পদবিতে কর্মরত রয়েছেন, সেই পদবিতে মোঃ মতিউর রাহমান সর্ব সাকুল্লে যে বেতন পান সে বেতন দিয়ে তার পরিবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিলাস বহুল জীবন জাপন করে আসছেন। তার সম্পদের হিসাব দেখলে যে কেউই অবাক হয়ে যাবে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিলাস বহুল বাড়ি এবং ফ্লাট, প্লট সহ রয়েছে দামি দামি গাড়ি।

n1

ডক্টর মতিউর রহমানের পাহাড়সম সম্পদের ফিরিস্তি:

(১) বাসাঃ ৩৮৪, রাস্তাঃ ৭/এ, ব্লকঃ ডি, ফ্লাটঃ ৫০১, বসুন্ধরায় দুই কোটি টাকার একটি ফ্লাটটি তার স্ত্রীর নামে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাড়ির ম্যানেজার। (২) বাসাঃ ৫১৯, রাস্তাঃ০১, ব্লকঃ ডি, বসুন্ধরা ৫ কাঠায় আলিশান ৭ তলা বাড়ি যার মূল্য ৪০ কোটি টাকা। বাড়ির সকল ইউনিট ভাড়া দেয়া, দোতলায় তিনি নিজের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিলাসবহুল এই বাড়ি দেখে যে কেউই আতকে উঠবেন, একজন সরকারী কর্তার এত টাকা কোথা থেকে আসে! জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির পরিপন্থী কর্মকান্ড করে এমন অসাধু কর্মকর্তারা কি করে টিকে থাকে সেটাই প্রশ্ন।

**ভালুকার সিডস্টোর এলাকার পাশেই প্রায় ৩০০ বিঘা জমির উপর গ্লোবাল জুতার ফ্যাক্টরি যেখানে দেশ-বিদেশি প্রায় ৪০০শ’ কর্মকর্তা কর্মচারী শ্রমিক রয়েছে। এ ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত জুতা সারা পৃথিবীরজুড়ে সরবরাহ হয় বলে জানিয়েছে সেখানকার দায়িত্বশীলরা।
এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মতিউর রহমানের রয়েছে অসংখ্য জমি, প্লট, বাগান বাড়ি। যার প্রায় প্রত্যেকটি তার স্ত্রীর নামে রয়েছে।

ড. মতিউর রহমানের রয়েছে জেসিএক্স নামে একটি যৌথ ডেভলপার কোম্পানি। নিজের নতুন প্রজেক্ট বসুন্ধরার আই ব্লক, সুবহান এভিনিউ প্লট নাম্বার ৬৫৭ এ ৬৫৭ বি এবং ৭১৬ রোড নাম্বার ৯-১০, যেখানে চলমান ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবনের নিখুঁত কাজ চলছে তার নিজস্ব ডেভলপার কোম্পানির তত্ত্বাবধানে।

এছাড়াও << গাজীপুর সদর, খিলগাঁও মৌজায় এস এ দাগঃ ১৭১ আর এস দাগঃ- ২৮০ এ ১০,৫০ শতক।
<< এস এ দাগঃ ১৭২ আর এস দাগঃ- ২০১ এ ৩.৯০ শতক।
<< এস এ দাগঃ ১৬৩ আর এস দাগঃ- ২৭৫ এ ৭.৫০ শতক। <<এস এ দাগঃ ১৬৩ আর এস দাগঃ- ২৭৬ এ ৬ শতক। << এস এ দাগঃ ১৭০ আর এস দাগঃ- ২৭৯ এ ৬ শতক।
<< এস এ দাগঃ ১৬৩ আর এস দাগঃ- ২৭৬ এ ৭ শতক। <<এস এ দাগঃ ১৭০ আর এস দাগঃ- ২৭৯ এ ৬ শতক। <<সাভার থানার বিলামালিয়া মৌজায় খতিয়ানঃ ১৩০৩৫ দাগঃ ১৭৬৩ ও ১৭৬২ তে ১২.৫৮ শতক। এই সর্বমোট ৮ টি খতিয়ানে ৬০ শতাংশ জমি রয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এছাড়াও তার স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে সাভার থানার বিলামালিয়া মৌজায় খতিয়ান:১৩৬৯৬ এ ১৪.০৩ শতাংশ, গাজীপুর থানার খিলগাঁও মৌজায় ৩৫৫৭ জোত:-এ ৪৮.১৬ শতাংশ, জোত: ৩৪৫০ তে ১৪.৫০ শতাংশ, জোত: ৩৬৫২ তে ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব, লায়লা কানিজের নামে .৪৫১৬২৫ একর। এছারাও গ্লোবাল সুজ লিমিটেড একটি কোম্পানির নামে একই মৌজায় জোত: ১২৫ তে ,৩৪৩৪৫ শতক, ( গ্লোবাল সুজ ) জোতঃ ৭০ তে ,২৮০০ শতক, জোতঃ ৯০ তে .০৩৩০ শতক। এই সর্বমোট ৭ টি খতিয়ানে ৬০ শতাংশ জমি রয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা। এছাড়াও স্ত্রি ও নিজের নামে রয়েছে দামি দামি গাড়ি, উক্ত গাড়িটির নাম্বার- ঢাকা মেট্রো-গ যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। । এবং তার নিজের নামে রয়েছে ঢাকা মেট্রো মডেলের গাড়ি। যার মূল্য ৩৫ লক্ষ টাকা।

Motiur news

ব্যাক্তিগত ও পারিবারিকজীবন:
ঢাকা বিশ্ববিসদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে অনার্স-মাস্টার্স আর এমবিএ করা মতিউর রহমানের কর্মজীবন শুরু হয় পল্লী কর্ম সংস্থান ফাউন্ডেশনে(পিকেএসএফ)। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত কাজ করেন সেখানে। সর্বশেষ উপ-ব্যবস্থাপক পদ থেকেই ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল যোগ দেন কাস্টমস বিভাগে।
২০১৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে কমিশনার হিসেবে যোগ দেন বরিশালের ছেলে মতিউর রহমান। বাবা আলহাজ আব্দুল হাকিম হাওলাদার। বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া মতিউর রহমান দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক মতিউর রহমান। স্ত্রী লায়লা কানিজ ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক। মেয়ে ফারহানা রহমান বিবিএ শেষ করে এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। আর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্থনীতিতে অর্নাস পড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এছারাও তার পরিবারের নামে বেনামে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী ও বরিশাল সহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে। তার মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও ছেলে আহমেদ তউফিকুর রহঃ অর্ণব এর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে। যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পাওয়া যাবে।
রাজস্ব বোর্ডে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মতিউর রহমান উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে, এবং চেয়ারম্যান, সচিব, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন। তার নামে বেনামে ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করা আছে। উক্ত এফডিআর এর পরিমাণ ৪০ কোটি টাকার মত। মোঃ মতিউর রহমান শত কোটি টাকা সম্পদের মালিক। আইনগত ঝামেলা এড়ানোর জন্যে নিজের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন। তিনি অবৈধ উপায়ে মানুষের কাছ থেকে এবং সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এসব সম্পদ লোপাট করেছেন বলে বিভিন্ন ব্যাবসায়ি ও রাজস্ব বোর্ডে কর্মরত অনেকের কাছে প্রতীয়মান।

এমন পাহাড় সম দুর্নীতি অনিয়ম ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিষয়ে মন্তব্য জানতে ডঃ মতিউর রহমানের মঠোফোন নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি বলেন বসুন্ধরার বাড়িটি আমার মেয়ের নামে আমি কোন ব্যাংকের ঋণ খেলাপি নই, এসবের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এবং বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকের নাম দিয়ে প্রতিবেদককে সুমিষ্ট ভাষায় শাসানোর চেষ্টা করেন।

hr4rf 1

নোট: দুর্নীতি দমন কমিশন দুদুকে জমা করা বিস্তর অভিযোগ এবং একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রের পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখেছে সংবাদ মাধ্যম। যার মধ্যে বসুন্ধরা এলাকার প্রতিটি প্লট বাড়ি ও স্থাপনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের বাইরে সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে নতুন করে খোঁজ পাওয়া গেছে যৌথভাবে থাকা তার জেসিক্স ডেভলপার কোম্পানি এবং সেই কোম্পানির তত্ত্বাবধানে থাকা ১৪ বাণিজ্যিক ভবনের।
সংবাদে উল্লেখিত প্রতিটি তথ্য দুদুকে জামা পড়া অভিযোগের সূত্র থেকে নেয়া। যার অধিকাংশ তথ্য সঠিক। তবে অভিযোগে উল্লিখিত ব্লগ ডি এর দশ নম্বর রোডে ৩৮৪ নাম্বার বাসার ফ্লাটটি ৭ নম্বর রোডে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যার ঠিকানা ভুল ছিল।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

1 Comment

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *