মতিউরের সম্পদ তদন্তে চার দফা টিম গঠন করেও পিছু হটে দুদক


ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক : ছাগলকাণ্ডে সমালোচিত এনবিআর কর্মকর্তা ড. মতিউর রহমানকে চারবার ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ তথা দায়মুক্তি কিংবা অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মতিউরের সম্পদ তদন্তে চার দফা টিম গঠন করেও তদন্ত করেনি সংস্থাটি। দুদকের ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ পেয়ে নিজেকে না শুধরে আরও বেপরোয়াভাবে জড়ান দুর্নীতিতে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়লে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ না পেলে অভিযুক্তকে ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ তথা দায়মুক্তি বা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, এনবিআরের ওই কর্মকর্তাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ জমা পড়ে। চারবার অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়েও অদৃশ্য কারণে না করে ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ বা অব্যাহতি দেওয়া হয়। মতিউর রহমানের তদবিরের কারণে দুদকের তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আরও একটি অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে মতিউরের সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠনের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সংস্থাটির যাচাই-বাছাই কমিটি (যাবাক)। গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগটি দুদকের ব্যাংক শাখা থেকে তদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তদন্তে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, এনবিআরের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে নামলে সংস্থাটি থেকে দুদকের সেই কর্মকর্তার সম্পত্তির হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এনবিআরও দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। অনেক সময় অহেতুক হয়রানি করে। এসব ঝামেলা এড়াতে এনবিআর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে অনীহা কাজ করে।
আরও পড়ুন:
৫২ লাখ টাকার কোরবানি দিয়ে ভাইরাল এনবিআর কর্মকর্তার ছেলে
মতিউর রহমানের শত কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ!
এনবিআর কর্মকর্তা ড.মতিউর কীভাবে এত সম্পদের মালিক!
এনবিআরের মতিউরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ
কানাডার শৌখিন শহরে প্রাসাদ রয়েছে মতিউর কন্যা ইপসিতার
ইফাতের বিলাসী জীবন,৩৬০০ বর্গফুটের আলিশান বাসা
সম্প্রতি মুসফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ ১৫ লাখ টাকায় কোরবানির ছাগল কেনার কথা বলে আলোচনায় আসে। এর পরই বের হয়ে আসে ওই তরুণ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য ড. মতিউর রহমানের ছেলে। প্রশ্ন ওঠে, ওই কর্মকর্তার আয়ের উৎস নিয়ে। অন্যদিকে বের হয়ে আসতে থাকে ইফাতের বিলাসবহুল জীবনের নানা ছবি। দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। মতিউর প্রথমে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন। যারা ইফাতের সঙ্গে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন। পরে জানা যায়, ইফাত তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম সন্তান।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মতিউর রহমানের শতশত কোটি টাকার সম্পদ প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়