অনুসন্ধানী সংবাদ

অঢেল সম্পদের মালিক গণপূর্তের প্রকৌশলী কায়কোবাদ

9 5
print news

ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা : দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স‘ নীতির কারনে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মহাআতঙ্ক। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজির আহমেদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কয়েক শীর্ষ কর্মকর্তা ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের যে নীতি ঘোষণা করেছে তার বাস্তবায়ন দেখতে শুরু করেছে দেশের মানুষ। সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে যে, এবার হয়তো দুর্নীতিবাজরা আর রক্ষা পাবে না। অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, এখন প্রতিটি স্তর ও বিভাগে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার পালা। এতে তাসের ঘরের মতো তছনছ হয়ে যাবে দুর্নীতির দুষ্টচক্র। তাদের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হলে সাঙ্গ হবে দুর্নীতিবাজদের বিলাসী জীবন যাপন। কিন্তু এসবের মধ্যেও এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ধরাকে সরা জ্ঞান করে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেই চলছে।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ, সম্পদ ও উৎপাদিত পন্য এবং বিশেষ করে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স যে দেশকে টিকিয়ে রেখেছে; তথাকথিত ভদ্রবেশী ‘শিক্ষিত’ আমলা, দুর্নীতিবাজ ব্যাংকার, কালোবাজারী ও চোরা কারবারী চক্র ও এক শ্রেণীর লুটেরা ব্যবসায়ীরা সব কিছু লুটে নিয়ে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে। তারা বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হলে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
সরকারের যেসব দপ্তর অধিদপ্তরে বেশুমার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত তার মধ্যে অন্যতম গণপূর্ত অধিদপ্তর। এই দপ্তরের পরতে পরতে রয়েছে রহস্যময় দুর্নীতি। এখানকার কথিত ডাকসাইটে অসাধু কর্মকর্তাদের প্রায় সকলেই জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার মালিক। অনেকের নামে বেনামে দেশে ও দেশের বাইরে রয়েছে বেশুমার সম্পদ।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ও সরকারী অবকাঠামো তৈরী, আবাসন ব্যাবস্থা নগর উন্নয়ন ও অবকাঠামো নীতিমালা বাস্তবায়ন করে থাকে। গণপূর্ত অধিদপ্তর (পিডব্লিউডি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ (জাগৃক) ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশ সেরা প্রকৌশলীরা। অথচ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তারা অধিক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে গৃহায়ন ও পিডব্লিউডির অসাধু প্রকৌশলী ‌এবং কর্মকর্তারাই বেশি সম্পৃক্ত।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের অনিয়ম ও দুর্নীতি অনেকটা প্রকাশ্যে। তারা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কাই করছে না। গণপূর্তের সিভিল ও ই-এম বিভাগের প্রতিটি শাখা ও উপ-শাখায় চলছে দুর্নীতির মহোৎসব। অধিদপ্তর জুড়ে প্রতিটি সার্কেল প্রকাশ্যে চলে বেশুমার দুর্নীতি খেলা। ভয়ানক এ খেলা সবাই দেখে ও বুঝে কিন্তু দুর্নীতি প্রতিরোধ কিংবা নির্মূলে কেউ এগিয়ে আসে না। কারন অনুসন্ধানে জানা গেছে দুর্নীবাজদের কাছ থেকে অনেকেই লাভবান (বেনিফিশিয়ারিজ)। তাই দুর্নীতর দুষ্টচক্র কারোর পরোয়া করে না।
কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় ভিন্ন তথ্য। গণপূর্তে দুর্নীতির ডালাপালা একধরনের প্রতিষ্ঠানিকভাবে রুপ নিলেও সবাই এখানে কথিত ‘সৎ’ এবং ‘নিষ্ঠাবান’ কর্মকর্তা। ভুলেও কেউ এক পয়সা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে না। অথচ খোঁজ নিলে দেখা যায়, প্রত্যেকেরই রয়েছে বিপুল বিত্ত বৈভব। কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ, বাড়ী, গাড়ী ও বিপুলপরিমান ব্যাংক ব্যালেন্স। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যেখানে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন, সেখানে পিডব্লিউডিতে প্রকাশ্যে কমিশন বাণিজ্য হয়। তাদের বিষয়ে গণমাধ্যমে কিছু খবর প্রকাশিত হলেও উল্টো ওই গণমাধ্যমকেই চোখ রাঙ্গানো হয়; অথচ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সেখানে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের দুষ্টচক্র মিলে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। সেখানে কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হলেও কেউ কারও বিরুদ্ধে মুখ খোলেনা।

‘গণপূর্তে দুর্নীতির কালো বিড়াল’
গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন সার্কেল ও বিভাগ জুড়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম জেঁকে বসেছে। বিশেষ করে মেরামত ও সংরক্ষণ এবং ইএম শাখায় অনিয়মের চিত্র ভয়াবহ। প্রতিটি সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীগন ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজসে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। ই-এম শাখায় দুর্নীতি ও অনিয়মের কমিশনের হার হয় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। দুর্নীতি ও অনিয়মের মধ্যে অর্জিত অর্থ দিয়ে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীরা।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধিকাংশ প্রকৌশলীদের আমলনামা ঘেঁটে দেখা গেছে যে চাকুরী পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ‘ভাগ্যের চাকা’ ঘুরে যায়। হাতে পেয়ে যান যেনো আলাদীনের চেরাগ। অনুসন্ধানে একটা বিষয় পষ্ট তা হচ্ছে এ অধিদপ্তরে সুশাসন ও নজরদারীর অভাব সবচেয়ে বেশী। গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ (সওজ), বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের উপর অনুসন্ধানে দেখা গেছে সেখানে ‘মেধাবীরাই’ বেশী দুর্নীতিগ্রস্ত। আর এদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে ঘুনেধরা তথাকথিত রাজনীতির পদধারী ঠিকাদারচক্র। এর অর্থ এই নয় সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। এখানে সৎ ও যোগ্য মেধাবী মুখ খুজে পাওয়া যায়ম কিন্তু তার সংখ্যা খুবই নগন্য।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ই-এম সার্কেল-২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদ:
প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদ গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।নিয়োগ-বদলী ও পদোন্নতি ছাড়াও অনিয়ম এবং দুর্নীতির খবর যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্য তার (কায়কোবাদ) নেতৃত্বে একটি নিদিষ্ট সিন্ডিকেট নির্বাহী প্রকৌশলীদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন, ফয়সাল, যিনি সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর ষ্টাফ অফিসার বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী (উন্নয়ন) গনপূর্ত ভবন। রয়েছেন কল্যান কুমার কুন্ড; তিনি প্রধান প্রকৌশলীর ষ্টাফ অফিসার বর্তমানে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মিরপুর। আছেন রাজীব-নির্বাহী প্রকৌশলী সার্কেল-১ বর্তমানে অথরাইড অফিসার রাজউক। টিটু উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ধানমন্ডি, বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী। কায়কোবাদের নেতৃত্বে এইচক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সূত্র নিশ্চিত করেছে নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস, সাজেদুল, আব্দুল হালিম, আনোয়ার হোসেন, সমীরণ মিস্ত্রি, জাহাঙ্গীর আলম, প্রত্যেকের নিকট থেকে প্রধান প্রকৌশলীর নাম ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সিন্ডিকেট।

গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর বিশ্বস্থ সহচর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন কায়কোবাদ।অনিয়ম ও দুর্নীতির সমস্ত অলিগলি কায়কোবাদের চেনা বা জানা। গনপূর্ত অধিদপ্তরের ই-এম সার্কেল -২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদের অধীনে রয়েছে ইএম বিভাগ ৪, ৫,৭ প্রতিটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর দুর্নীতি ও অনিয়মের আলাদা খতিয়ান। অথচ এ সমস্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির দায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এড়াতে পারে না।
অনুসন্ধানে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড যেমন তুলে ধরা হয় তেমনি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের খতিয়ান ও তুলে ধরার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে যার প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। মহাক্ষমতাধর ব্যক্তিগন ও আইনের আওতায় আসছে।

গণপূর্তের দুষ্টচক্রের অন্যতম হোতা মো. কায়কোবাদের অতীত কর্মকান্ড ঘেঁটে দেখা যায়, বড় বড় মাফিয়া ঠিকাদারদের সঙ্গে তার সখ্য। তাদের হয়ে কাজ করেন তিনি। তাদের কাছ থেকে পান মোটা অংকের কমিশন। এ কারনেই তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। তার সার্কেলের একাধিক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজ না করেই বিল তুলে নিয়েছেন। এমন তথ্য প্রমাণ বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সেগুলো তদন্তে আলোর মুখ দেখেনি। নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস কাজ না করে বিল তুলে নেওয়ার পরেও তা মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর এমনকি দুদক তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তার বিষয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। যার দায় দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে মো.কায়কোবাদও এড়াতে পারেন না।
ই-এম বিভাগ-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরেও কাজ না করে বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটা প্রশ্ন নির্বাহী প্রকৌশলী যদি কাজ না করে বিল তুলে নিয়ে যায় তাহলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাজটা কি? শুধু বসে কমিশন খাওয়া? না অন্য কিছূ?

একজন তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীর তার বেতন কত? তা বিশ্লেষণ করলেই প্রমাণ হয় তিনি কতটুকু ও নিষ্ঠাবান। মো: কায়কোবাদের বাবার নাম ইউনুস আলী সরকার। জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৯৬৭২৬৯৯০৪০৭২১৬০১ তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী, গনপূর্ত ই-এম সার্কেল-২। তার অধীনে ৩ জন নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন। ই-এম বিভাগ-৪, মো: মহিবুল ইসলাম, ই-এম বিভাগ-৬ পবিত্র কুমার দাস। প্রত্যেক নির্বাহী প্রকৌশলীর আলাদা আলাদা দপ্তর। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে আলাদা আলাদা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

কায়কোবাদ  গনপূর্ত ই-এম সার্কেল চট্রগ্রাম থেকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ন ই-এম সার্কেল-২ এর পদায়ন করা হয়েছে। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের সময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ই-এম) গনপূর্ত ই-এম প্লানিং সার্কেলে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ছিলো। তিনি তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ যদি দুদক অনুসন্ধান করতে পারে, ক্ষমতার জোরে আশরাফুল আলমের ক্যাশিয়ার খ্যাত মো: কায়কোবাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়নি। অভিযোগ রয়েছে তিনি বৈধ ও অবৈধভাবে বিপুল পরিমান জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। দেশে বিদেশে তার তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে রয়েছে বিপুল পরিমান সম্পদ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বিলাস বহুল ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। ঢাকার ধামরাইতে তার একটি ১০ তলা ফাউন্ডেশন ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ী শেরপুরে রয়েছে নামে বেনামে অঢেল সম্পদ। পরিবারের ব্যবহারের জন্য রয়েছে লেটেস্ট মডেলের প্রিমিও গাড়ী। তার সার্কেলের সকল কাজের উপর ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে টাকা কমিশন গুনে গুনে নেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। একটি সার্কেলে পুরো অর্থবছরের যত কাজ হয় তার ৫ শতাংশ যদি তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী পায় তাহলে তার বছরে আয় কত?

যে ভাবে কমিশন আদায় হয়
প্রথমে একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার আগেই জমা দেওযার সময় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর দপ্তরের নির্দিষ্টহারে কমিশন নগদ টাকা জমা দিয়ে কাজ নিতে হয়। শুরু হয় টাকা নেওয়ার পালা। এবার নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তরের নির্দিষ্ট হারে কমিশনের টাকা বন্টন করতে হয়। সূত্র ও তথ্য মতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী,উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ৫ শতাংশ মোট ১০ শতাংশ এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর জন্য ১০ শতাংশ ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তরে ৫শতাংশ অর্থ দিতে হয় ঠিকাদারদের। এছাড়া অন্যন্য খাতে ২-৩ শতাংশ হারে কমিশনের টাকা নগদে প্রদান করতে হয়। ঠিকাদারের কাজ নেয়া থেকে শুরু করে বিল পাওয়া পর্যন্ত ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিতে হয়। মোট বিলের উপর ভ্যাট ও এআইটি বাবদ ১৫ শতাংশসহ প্রায় শতাংশ। ক্ষেত্র বিশেষ আরও ১-২ শতাংশ বেশি কমিশন দিতে হয়।
এসব বিষয়ে তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদের  মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *