অর্থনীতি

দুই কোম্পানি কব্জা করে শেয়ারবাজারে লুট মতিউরের

image 464314
print news

ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা : ছাগলকাণ্ডের এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান, ব্যবসায়ী মো. মোর্শেদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুটি দুর্বল কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা মতিউর রহমানের খালাতো ভাই নেছার উদ্দিন সোহাগ এবং ভাইয়ের স্ত্রীকে পরিচালক বানিয়ে ফ্যামিলি টেক্স (বিডি) ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করেন। এ দুটি দুর্বল প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে পথে বসেছেন শতশত বিনিয়োগকারী। ফ্যামিলি টেক্সের ৭৪ টাকা ৮০ পয়সা শেয়ারের গতকালের দাম ছিল মাত্র ৩ টাকা ৩০ পয়সা। এ ছাড়া সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৫ সালে। ১০ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে তোলা হয় ৪৫ কোটি টাকা। দুই বছরের মাথায় ২০১৭ সালে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় কোম্পানির উৎপাদন। অথচ কোম্পানি দুটি তালিকাভুক্তির আগের দুই বছরে হঠাৎ করে চার গুণ বেশি মুনাফা দেখানো হয়, যাতে তালিকাভুক্তি সহজ হয়।

শুধু তাই নয়, আপন ছোট ভাই নুরুল হুদার সই-স্বাক্ষর জাল করে ইফকো টেক্সটাইল নামে আরও একটি কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির চেষ্টা করেন মতিউর রহমান। ঋণসংক্রান্ত জটিলতা, ব্যাংকের আপত্তি ও সিআইবি রিপোর্ট পক্ষে না থাকায় এই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। পরে ছোট ভাইকে দিয়েই চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা করান নিজের সহযোগী মোর্শেদ এবং একটি বেসরকারি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এর উদ্দেশ্য ছিল ভাইকে ঋণের দেনার দায় থেকে মুক্ত করা। নুরুল হুদা তার দায়ের করা মামলায় দাবি করেছেন, তিনি কোনো ব্যাংকঋণ নেননি এবং কীভাবে তিনি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হয়েছেন সেটিও জানেন না।

দুর্বল প্রতিষ্ঠানকে পাবলিক প্রতিষ্ঠান করে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নেছার উদ্দিন সোহাগ গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, ‘মতিউর রহমান আমার খালাতো ভাই। আমি প্রতিষ্ঠানের (ফ্যামিলি টেক্স বিডি) পরিচালক ছিলাম। তবে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। কারণ আমাদের কোনো কর্মকা- ছিল না।’ তবে সিগনেটরি হিসেবে প্রতিষ্ঠানের সব অর্থের লেনদেন তার স্বাক্ষরেই হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের হয়ে কাজ করেছি। তখন চেয়ারম্যান ছিলেন কায়সার সাহেব। তিনিই ভালো বলতে পারবেন। সব কিছু তার নির্দেশে হয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমার ও আমার স্ত্রীর কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।’

 একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. মোর্শেদ এবং তার সহযোগীদের ফ্যামিলি টেক্স (বিডি), সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল লিমিটেড এবং ইফকো গার্মেন্টস লিমিটেড নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান ছিল। ছাগলকাণ্ডে আলোচিত আত্মগোপনে থাকা এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এবং ব্যবসায়ী মো. মোর্শেদ সংঘবদ্ধভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে ফ্যামিলি টেক্সকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করান।

মতিউর রহমানের খালাতো ভাই নেছার উদ্দিন সোহাগকে (৪৬) প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও ব্যাংক হিসাবের সিগনেটরি করা হয়। ২০১৫ সালে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। নেছার উদ্দিন সোহাগের স্ত্রীকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক করা হয়। গুলশানের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের হিসাব নম্বর ০১১২১১১০০০১৯৪৬৫-এর নমিনেটেড সিগনেটরি হয়ে তিনি কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেন। সংঘবদ্ধ প্রতারণা ও আত্মসাতের ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই এফিডেভিটের মাধ্যমে ইফকো গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার নাজমুল শাখাওয়াত হোসেনের ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১৪ লাখ শেয়ার মতিউর রহমানের আপন ছোট ভাই নুরুল হুদার নামে হস্তান্তর দেখিয়ে পরিচালক করা হয়। এরপর শেয়ারবাজারে লুটপাটের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের চেষ্টা করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, দুই দুর্বল কোম্পানি ফ্যামিলি টেক্স (বিডি) ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মতিউর ও তার সহযোগীরা। তবে ইফকো গার্মেন্টস ও টেক্সটাইলকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে না পারায় তাদের লুটপাটের পরিকল্পনা ধাক্কা খায়। প্রতিষ্ঠানের নেওয়া বিপুল ঋণের বোঝা মতিউর রহমানের ছোট ভাই নুরুল হুদার ঘাড়ে চাপে। পরে মতিউর রহমান নিজের ছোট ভাইকে বাঁচাতে মো. মোর্শেদ ও ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরিকল্পনা ছিল, বিদেশে আত্মগোপনে যাওয়া তার সহযোগী মো. মোর্শেদ আর ফিরে আসবেন না। আর ব্যাংককে ফাঁসিয়ে তার ভাইকে মুক্ত করে আনবেন। কিন্তু পুলিশ তদন্ত শুরু করলে মূলহোতা হিসেবে মতিউরের নাম বেরিয়ে আসে। তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তদন্ত কর্মকর্তা বদলে ফেলেন। একে একে পাঁচজন তদন্ত কর্মকর্তা বদল করা হয়। প্রভাব খাটিয়ে নিজে এবং ভাইকে বাঁচাতে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় একাধিক মিটিং হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মামলাটি এখন সিআইডির একজন ইন্সপেক্টর তদন্ত করছেন।

নুরুল হুদার দায়ের করা মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মামলার প্রধান আসামি ইফকো গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোর্শেদ (৫১)। তিনি অনেক আগেই বিদেশে আত্মগোপনে আছেন। মামলার দ্বিতীয় আসামি আকতার কামাল (৫২)। ঘটনার সময় তিনি চট্টগ্রামের আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার ছিলেন। বর্তমানে তিনি এই ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লাইয়েন্স উইংয়ের প্রধান।

ডবলমুরিং থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নুরুল হুদা একটি মাদ্রাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা। আসামিদের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা পূর্ব পরিচয় নেই। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক থেকে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, তিনি ইফকো গার্মেন্টসের পরিচালক হিসাবে ব্যাংক থেকে নেওয়া বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের জন্য দায়বদ্ধ। কথিত পরিচালক হিসেবে তিনি ১০টি ফৌজদারি ও একটি দেওয়ানি মামলার বিবাদী। মামলার প্রধান আসামি মো. মোর্শেদ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জাল জালিয়াতিপূর্ণ ডকুমেন্ট সৃষ্টি ও ব্যবহার করে ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতারিত করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে তা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, মো. মোর্শেদ পরিকল্পিতভাবে নুরুল হুদার নাম-ঠিকানাসহ তথ্যাদি সংগ্রহ করে নাজমুল শাখাওয়াত হোসেনের এক কোটি চল্লিশ লাখ টাকার শেয়ার বাদীর নামে স্থানান্তর দেখায়। বাদীর স্বাক্ষর জাল করে ডকুমেন্ট সৃষ্টি করে এবং ব্যাংক কর্মকর্তা আকতার কামালের যোগসাজশে ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করে। এর পর মো. সোলেমান নামে একজনকে পরিচালক হিসাবে দেখিয়ে আবার ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর নুরুল হুদার সব শেয়ার মো. মোর্শেদের বরাবরে হস্তান্তরের ডকুমেন্ট তৈরি করে। এর পর জাল স্বাক্ষরে ভুয়া মিটিং দেখিয়ে ওই হস্তান্তরের ভিত্তিতে নুরুল হুদাকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মর্মে ডকুমেন্ট সৃষ্টি করেন। নুরুল হুদার নামে ঢাকার নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর একটি মিথ্যা হলফনামা তৈরি করে তা রেজিস্ট্রার অব জয়েট স্টক কোম্পানিতে দায়ের করা হয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, কাগজপত্রে পরিচালক করা, পরে তা থেকে ইস্তফা দেওয়া, কোনো বোর্ড মিটিংয়ে বসা বা কোনো নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামা দেওয়া- এসবের কিছুই বাদী জানেন না। পরে সোলেমানসহ অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, মূলত মোর্শেদ ও আকতার কামাল যোগসাজশ করে বাদীসহ বিভিন্ন নিরীহ লোকদের কাগজপত্রে প্রতিষ্ঠানের অংশীদার দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক থেকে টাকা আত্মসাৎই তাদের পেশা ও নেশা।

তবে মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মামলার তদন্তকাজে বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তেমন সহযোগিতা করেননি। নুরুল হুদার হয়ে তার বড় ভাই এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান মামলার তদবির করতেন। এ প্রতারণার চক্রের হোতা হিসেবে মো. মোর্শেদের সঙ্গে মতিউর রহমানের নামও বেরিয়ে আসায় তিনি পদবির প্রভাব খাটান। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদবির করেন। অর্থ এবং পদের প্রভাব খাটিয়ে অপরাধের দায় থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ জানায়, ব্যাংক খেলাপি ঋণসংক্রান্তে মামলা দায়ের করলে নুরুল হুদা ব্যাংক কর্মকর্তাকে সম্পৃক্ত করে মামলা করেন। প্রকৃতপক্ষে অনুসন্ধানে অভিযুক্ত আকতার কামালের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্তার প্রমাণ পাওয়া গেল না। অভিযুক্ত মো. মোর্শেদের (৫১) বিরুদ্ধে প্যানাল কোডের ৪২০/৪৬৮/৪৭১ ধারার অপরাধের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

তবে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মূলত ইফকো গার্মেন্টসকে যখন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে ব্যর্থ হন, তখন মতিউর রহমান তার ভাই নুরুল হুদার নামের শেয়ার মোর্শেদের নামে হস্তান্তর করেন। তবে ঋণ নেওয়ার ঘটনার সময় নুরুল হুদা কোম্পানির পরিচালক হিসেবে থাকায় ব্যাংক তার নামে মামলা করে। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে মতিউর রহমান, মোর্শেদ ও নেছার উদ্দিন সোহাগরা পরিকল্পনা করে এভাবে দুর্বল ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

ফ্যামিলি টেক্স (বিডি) লিমিটেড কোম্পানির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। ১০ টাকা মূল্যমানের সাড়ে তিন কোটি শেয়ার ছেড়ে তারা সংগ্রহ করে ৩৫ কোটি টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম একপর্যায়ে ৭৪ টাকা ৮০ পয়সায় পৌঁছায়। এর পর পুঁজিবাজারে ঘোষণা না দিয়েই উদ্যোক্তা-পরিচালকরা তাদের হাতে থাকা সিংহভাগ শেয়ার বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে দেন। এর পর দরপতন হতে হতে গতকাল ফ্যামিলি টেক্সবিডির শেয়ারের দাম ছিল ৩ টাকা ৩০ পয়সা।

জানা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে কোম্পানির আয় ক্রমেই বাড়ছিল। তালিকাভুক্তির আগে তিন বছরের আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হয় বিএসইসিতে। সেখানে দেখা গিয়েছিল ২০১১ ও ২০১২ সালে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছিল চার গুণের বেশি। চক্রটি মূলত শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগে লুটপাটের জন্য মুনাফা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *